মোঃ খায়রুল বাশার (মিঠু) ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট
ঈশ্বরদীকে বলা হয় পাবনা জেলার প্রাণ। অর্থনীতির দিক থেকে অনেক এগিয়ে এই উপজেলা। উপজেলার সদরে ক্রমগত বেড়েছে মাদকের ভয়াবহতা। মাদকের ভয়াল থাবায় নষ্ঠ হচ্ছে যুব সমাজ। ঈশ্বরদী পৌর শহরের বাবুপাড়, ব্লাকপাড়া, ফতেমোহাম্মদপুর, লোকোসেড পানির টাংকি মোড়, লোকোসেট ফুটবল মাঠ, লোকোসেড বেলতলা মোড়, বেনারসী পল্লী, বড়ই বাগান, লোকোসেড কলা বাগান, নিউ কলোনির তিনতলা , ডায়াবেটিস হাসপাতাল এলাকা সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে, এবং উপজেলার প্রতন্ত গ্রামে আবারো নতুন করে খুলতে শুরু করেছে মাদকের বাজার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ঈশ্বরদীর পাকশী,(বাবুপাড়া) নতুন হাট (গ্রীন সিটির সামনে) সিলিমপুর মোড়, আওতাপাড়া বাজার, দাশুড়িয়া বাজার, শিমুলতলা বাজার, আলহাজ্ব মোড়,(মিরকামারী) মুন্নার মোড়, চাঁদআলী মোড়,মানিকনগর পাঠশালা মোড়, বড়ইচাড়া হাত মোড় সহ ঈশ্বরদীর নামী দামী হোটেল রেস্তোরায় চলছে অভাতে মাদক সেবন। মাদকের মধ্যে রয়েছে ফেনসিডিল, গাঁজা, ইয়াবা, হিরোইন সহ ইন্ডিয়ান নামী দামী ব্র্যান্ডের আরো অনেকনাম না জানা মাদক। আর এ সমস্ত মরণ নেশা মাদকের কবলে পড়ে ধবংস হতে চলেছে এলাকার যুব সমাজ।
এলাকায় কিশোরদের তারা সংগঠিত কিশোর গ্যাং এর তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে অপকর্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা মাদকের টাকা জোগাড় করতে সমাজে নানা অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এলাকার কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সোহাগ হোসেন জানান, তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলে তাদের সাথে থাকা মাস্তান বাহিনী দিয়ে নানান ভাবে অত্যাচারের শিকার হতে হয়। এই কারণে কেউ প্রকাশ্যে তাদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারছে না। যুব সমাজে নেমে এসেছে নৈতিক অবক্ষয়। অনেক মাদক সেবীরা মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে না পেরে লিপ্ত হতে চলেছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মত বিভিন্ন অপরাধ মুলক কাজে। এতে করে বাড়তে শুরু করেছে নানা অপরাধ প্রবনতা। মাদকের টাকার জন্য অনেকেই আবার মা বাবার সাথে করছে অমানবিক ব্যবহার। কেহ কেহ আবার মা বাবাকে করছে শারীরিক ও মানসিক ভাবে লাঞ্চিত ও নির্যাতন। লোক লজ্জার ভয়ে অনেক মা বাবাই নীরবে সহ্য করে যাচ্ছে মাদকসেবী সন্তানের এমন অমানবিক অত্যাচার নির্যাতন। এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকেই গভীর রাত পর্যন্ত দেখা যায় মাদক সেবীদের অনাগোনা। এদের মধ্যে একাধিক মাদক মামলার আসামি ছিলেন এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশল পরিবর্তন করে মাদকের ব্যবসা করে আসছেন বলেই আমরা প্রমানসহ তাঁদেরকে গ্রেফতার করতে পারি না। আমরা এখনও তৎপর রয়েছি। মাদক ও প্রমানসহ পেলেই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
Posted ৬:৫৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৪
Desh24.news | Azad
.
.