শনিবার ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতপুর এখন মাদকের স্বর্গরাজ্য চাইলেই পাওয়া যায় গাঁজা ফেনসিডিল ও ট্যাপেন্টা!

ডেস্ক রিপোর্ট   |   শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট  

দৌলতপুর এখন মাদকের স্বর্গরাজ্য চাইলেই পাওয়া যায় গাঁজা ফেনসিডিল ও ট্যাপেন্টা!

ছবির ক্যাপশন: গাঁজা ও ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট খাওয়ার পূর্ব মুহুর্তের প্রস্তুতি।

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকা হলেও চাইলেই পাওয়া যাবে না মদ হেরোইন ইয়াবা। কিন্তু গাঁজা ফেনসিডিল ট্যাপেন্টাডল নামক নেশার বিষ পাওয়া যায় যত্র তত্র যখন তখন। ১০০ টাকা হলেই মিলবে গাঁজা পরিমান যত বেশি দাম তার তত বেশী, ১২০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে মিলবে ট্যাপেন্টাডল, ১২০০ টাকা হলেই মিলবে ফেনসিডিল যখন বর্ডার বন্ধ থাকবে দাম তখন দ্বিগুন। অতি উচ্চ মাত্রার নেশা এগুলো তাই ফেনসিডিল খেলে গাঁজা কিংবা ট্যাপেন্টা খাওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে।
নেশা জাতীয় দ্রব্যগুলো এতই সহজলভ্য। মোবাইলে কল করতেই যা দেরী, মাল পৌছাতে দেরী নাই। মাল পৌছে যায় সাথে সাথেই “আমি তোমার পকেটেই” অবস্থা ঠিক এমনই। গাঁজা ফেনসিডিল ও ট্যাপেন্টা নামক ক্রেজি নেশার কবলে পড়ে দিশেহারা এই উপজেলার শত শত যুবক যুবতী স্কুল কলেজ পড়–য়াসহ রাজনৈতিক লিডার প্রকৃতির লোক।
মোবাইল নেটওয়ার্কের সুবিধা নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দৌলতপুর উপজেলা সহ এই থানার সমস্ত অলিগলি গ্রামগঞ্জ। এই নেশায় আশক্ত হওয়ার ফলে দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছে আক্রান্তরা নিজেই, এমনকি তাদের পরিবারের কাছের আত্মীয় স্বজনরা। ক্রমশ বেড়ে চলছে এর রাজত্ব। দৌলতপুর থানার এমন কোন গ্রাম বা অঞ্চল নেই। এই নেশার ভয়াল থাবা পৌছায়নি। বীরদর্পে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গাঁজা ফেনসিডিল ট্যাপেন্টা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে। সীমান্তবর্তী এলাকা আদাবাড়ীয়া, ধর্মদহ, প্রাগপুর, মহিষকুন্ডি, ভাঙ্গাপাড়া, জামালপুর, চিলমারী, বগমারী, চল্লিশপাড়া, ডাংমড়কা বাজারসহ মথুরাপুর, হোসেনাবাদ, তারাগুনিয়া, তারাগুনিয়া ফিল্ডপাড়া, জয়রামপুর, কল্যানপুর, সাদীপুর, বেগুনবাড়ীয়া, উপজেলা বাজার, দৌলতপুর বাজার, বিলপাড়া, সেন্টারমোড়, দৌলতখালী মাদকসেবীদের শীর্ষে রয়েছে গাঁজা ট্যাপেন্টাডল ও ফেনসিডিল নামক এই মরন নেশাদ্রব্য।
এই সর্বনাশা মাদক দ্রব্য গুলোকে যে নাম নিয়েই ডাকুক না কেন ভয়ঙ্কর এই পাগলা ঘোড়ার অশুভ দৌড় যেন থামছেই না। রুখে দেওয়ার যেন কেউ নেই। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজনৈতিক ঢাল ব্যবহার করা গুটি কয়েক অসাধু লোকের অর্থলিপ্সার মুখে হারাতে বসেছে সামাজিক মূল্যবোধ। এর উম্মাদনায় শূধু যুব সমাজই নয় স্কুল কলেজের প্রায় ৮০% কোমলমতি শিশু কিশোররা আক্রান্ত। উজ্জল ভবিষ্যত ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে জীবনের শুরুতেই ধ্বংস হচ্ছে সোনালী ভবিষ্যৎ। এই মরন নেশার তালিকায় পিছেয়ে নেই মেয়েরাও।
পরিনত বয়সী গ্রাহকের সংখ্যাও নগন্য নয় বলে জানা যায়, অথচ মরন নেশা গাঁজা ফেনসিডিল ট্যাপেন্টাডলের থাবায় আক্রান্ত যুব সমাজকে উদ্ধারের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের চলমান চেষ্টার যেন শেষ নেই। আসলে উক্ত চেষ্টার ফলাফল অন্তহীন প্রচেষ্টার মাঝেই ঘুরপাক খাওয়া এবং কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই বেড়ে চলা এর সর্বনাশা আগ্রাশন মনে করেন জনসাধারন।
বিভিন্ন বয়সী আসক্ত যুব সমাজের অভিমত অনুযায়ী সহজলভ্যতা পরিবহনে সুবিধা ও সল্পসময় লাগাই এর বিস্তারের প্রধান কারন বলে জানা যায়। অসাধু রাজনৈতিক নেতৃত্বের সংশ্লিষ্টতা গাঁজা ফেনসিডিল বিস্তার রোধের অন্যতম কারন।
কয়েকজন নেশায় আসক্ত যুবক জানান, অনিদ্রা স্বাস্থ্যহীনতা অস্থিরতা উগ্র-সভাবের কারনে এক পর্যায়ে সুস্থ্য সমাজ থেকে বিতারিড়ত হতে হয় আমাদের মত গাঁজা ফেনসিডিল ও ট্যাপেন্টাখোরদের। যা তার সাথে সাথে তার পরিবারকেও নিয়ে যায় অনিশ্চিত গন্তব্যে।
এদিকে দৌলতপুর উপজেলায় মাদক নির্মুল কমিটি থাকলেও তাদের কার্য্যক্রম হিসেবে বছরে কয়েকটি লিফলেট বিতরন ও লম্বা লম্বা বক্তব্য ছাড়া কিছুই লক্ষ করা যায়না বলে জানান সচেতন মহল।

 


Facebook Comments Box

Posted ৪:১১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

Desh24.news |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
এম আজাদ হোসেন সম্পাদক ও প্রকাশক
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়

শ্রীসদাস লেন,বাংলাবাজার , ঢাকা-১১০০/ ঘিওর, মানিকগঞ্জ।

হেল্প লাইনঃ +৮৮০১৯১১৪৭৭১৪১/০১৯১১২২৭৯০৭

E-mail: infodesh24@gmail.com