আব্দুর রাজ্জাক মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি | শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
ইতোমধ্যে বর্ষার শুরুতে ভাঙনের ফলে নদী গর্ভে চলে গেছে ১৫ টি বসতভিটা,
ব্রিজ, কালভার্ট, শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গরুর হাটের একাংশ। ভাঙনের শিকার
পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
উপজেলার ঘিওর সদর ইউনিয়নের রামকান্তপুর এলাকায় ইছামতি নদীর তীর ঘেঁষে
নির্মিত পুরাতন জামে মসজিদ। পাশেই কবরস্থান। আশেপাশের ৪টি গ্রামের ৬/৭
হাজার মানুষজন এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন এবং কবরস্থানে মরদেহ সমাহিত
করেন। বর্তমানে নদী ভাঙনের ফলে মসজিদ ও কবরস্থানটি হুমকির মুখে পড়েছে।
সরজমিন শুক্রবার সকালে দেখা যায়, মসজিদ সংলগ্ন নদীর পাড়ে দেখা দিয়েছে বড়
ফাটল। নিচ থেকে মাটি সরে মসজিদের কয়েকটি পিলার বেরিয়ে গেছে। পাশের
রামকান্তপুর কবরস্থানও ছুঁয়েছে নদী। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে চলতি
বর্ষাতেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবার আশংকা এলকাবাসীর। এসময় মসজিদ ও
কবরস্থান রক্ষার জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা নাজমুল বলেন, প্রতি বছরের বর্ষায় ইছামতী নদীতে ভাঙন
শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে ভেঙেই চলছে দুপাড়। এখন আমাদের
এলাকার একমাত্র মসজিদ ও কবরস্থান ভাঙনের মুখে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন
প্রতিরোধে পদক্ষেপ না নিলে মসজিদসহ আরও অনেক বসতভিটা বিলীন হয়ে যাবে।
প্রবীণ আইজুদ্দিন মিয়া বলেন, বড় বড় নেতা আসেন, কর্মকর্তারা আসেন, দেখে
যান। কিন্তু আমাদের এলাকার ভাঙন থামাতে কোন কাজ হয় না। কয়েকটি জিও
ব্যাগ ফেলেছেন। এতে ভাঙন একবিন্দুও থামেনি।
ঘিওর ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, একাধিকবার আবেদন ও সরাসরি
যোগাযোগ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে মসজিদ ও কবরস্থান রক্ষায় জিও ব্যাগ
ফেলার অনুমোদন পাশ হয়। চলতি মাসের শুরুতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন
এসে মাত্র ৩ শ ব্যাগ জিও ব্যাগ ফেলেন। এরপর অদৃশ্য কারনে বন্ধ হয়ে যায়
জিও ব্যাগ ফেলার কাজ। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ বরাদ্দ বৃদ্ধি করার বিকল্প
নেই।
ইউএনও আমিনুল ইসলাম বলেন, ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা নিতে ডিসি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে
জানানো হবে।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাঈন উদ্দিন বলেন,
ইছামতি নদী ভাঙন রোধে কয়েকটি প্রকল্পে কাজ চলমান রয়েছে।
মসজিদ ও কবরস্থান রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। প্রয়োজনে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হবে।
Posted ৯:১৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩
Desh24.news | Azad
.
.