মাহবুব আলম রাসেলঃ | শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। দৌলতপুর উপজেলায় এবার ৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৬ টি ইউনিয়নে মোট ৪৮ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গতকাল উপজেলার কয়েকটি পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, প্রতিমা গড়া, রং ও কাপড় পড়ানোর কাজ শেষ করেছেন সবাই। এখন বাইরের সাজসজ্জা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজকেরা।
এ বছর উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নে ১৪ টি, ধামস্বর ইউনিয়নে ৩ টি, চকমিরপুর ইউনিয়নে ১১ টি, খলসী ইউনিয়নে ১৬ টি, বাঘুটিয়া ইউনিয়নে ২ টি ও জিয়নপুর ইউনিয়নে ২ টি মন্ডপে পূজা উদযাপিত হচ্ছে। পূজা শুরুর দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন ব্যস্ততা বাড়ছে আয়োজকদের।প্রতিটি মন্ডপের কারিগরেরা সুচারুভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন দেবীর অবয়ব।
উপজেলার গাজীছাইল তরুণ সংঘের প্রতিমা তৈরির কারিগর ওমর পাল বলেন, আমি ৫ বছর যাবৎ এই প্রতিমা তৈরি করছি। আগে শুধু পাল সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রতিমা তৈরির কাজ করতো। এখন অনেকেই এই কাজ করে,এ কারনে আগের মত আমাদের চাহিদা নেই। তারপরও বাপ দাদার পেশা ছাড়তে পারি না। আগে একসাথে অনেকগুলো প্রতিমার কাজ করতে পারতাম, এখন কমে গেছে তবে এ বছর গতবারের চেয়ে বেশি প্রতিমা তৈরির কাজ করেছি। সরকারের পৃষ্টপোষকতা দাবি করেন এই প্রতিমা তৈরির কারিগর।
কলিয়া ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাধন কুমার সরকার বলেন, কলিয়া ইউনিয়নে এবার ১৪ টি পূজা মন্ডপে পূজা উদযাপিত হবে। আমরা প্রতি আয়োজকদের সাথে দফায় দফায় নিরাপত্তা বিষয়ে কথা বলেছি। সরকারের পাশাপাশি আয়োজকদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক রাখার জন্য বলা হয়েছে। প্রশাসন পূজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল প্রকার ব্যবস্হা গ্রহন করেছে। আশাকরি সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে এবার পূজা উদযাপন হবে।
দৌলতপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানিক চন্দ্র রুদ্র বলেন, আয়োজক ও প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে ইতিমধ্যে আমরা প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করেছি। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে সার্বক্ষনিক সমন্বয় করে প্রতিটি মন্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সুস্ঠ, সুন্দর পরিবেশে যেন পূজা উদযাপন করা যায় ইতিমধ্যে তার ব্যবস্হা করা হয়েছে। দৌলতপুরে প্রতিটি ইউনিয়নে পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটি রয়েছে। সকল কমিটি নিয়ে দফায় দফায় সভা করা হয়েছে। এবারের শারদীয় উৎসব সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়া হোসেন বলেন, এবছর পূজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার মহোদয় পুজার নিরাপত্তা নিয়ে পূজা উদযাপন পরিষদ ও আমাদের সাথে সভা করেছেন। আমিও প্রতিদিন আয়োজকদের সাথে দফায় দফায় নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলছি। প্রতিটি মন্ডপে সি সি ক্যামেরা লাগানোর কথা বলা হয়েছে। আয়োজকেরা নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক রাখবে এবং প্রত্যেকটি মন্ডপে ৮ থেকে ১০ জনের আনসার বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। আমার থানার পুলিশ সদস্যরা উপজেলার সব ইউনিয়নে সার্বক্ষনিক টহলরত অবস্থায় থাকবে।
Posted ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
Desh24.news | Azad
.
.