মেহেদী হাসান উজ্জ্বল,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | শনিবার, ২১ আগস্ট ২০২১ | প্রিন্ট
পৃথিবী আমাদের আসল ঠিকানা নয়,মরণ একদিন মুছে দেবে সকল রঙ্গিন পরিচয়। একজন মুসলিম ব্যাক্তির মৃত্যুর পর প্রতিটি মানুষকেই যেতে হয় অন্ধকার কবরে। সেই পবিত্র কবরস্থান নিয়ে কেউ কি একটুও ভাবি?,না রাখি কোনো খবর। রক্ষণা বেক্ষণের অভাব, অবহেলায় অযত্নে
পড়ে আছে এমনি এক অবহেলিত শেষ ঠিকানা। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর এলাকার কানাহার কেন্দ্রীয় কবরস্থান।
স্থানীয় বয়স্ক ব্যাক্তিদের তথ্য মতে ফুলবাড়ী কানাহার কবরস্থানটি প্রায় ৫শ বছর পুরোনো একটি কবরস্থান। এক সময় এখানে কানারাজা নামে একজন রাজা বসবাস করতেন তার নামে অনুসারে এই জায়গার নাম করন হয় কানাহার। এরপর থেকে কানাহার নামে পরিচিত এই জায়গাটি।
এখানে রয়েছে একটি বিশাল পুকুর। পুকুরের পাড় দিয়ে রয়েছে কবরস্থান। ফুলবাড়ী পৌর শহরের সকল পাড়া মহল্লার লাশ সেখানে দাফন করা হয়। অথচ পবিত্র এই কবরস্থানটি রয়েছে অবহেলায় অযত্নে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,কবরস্থানটি আগাছা দিয়ে ভরে গেছে। সেই আগাছার ভেতর বসে মাদক সেবন করছে অনেকে।
কেউ কেউ পাকা প্রাচির দিয়ে কবর ঘিরে জায়গা ধরে রেখেছেন।এতে দিনদিন কমে যাচ্ছে কবর দেওয়ার জায়গা,কবরের উপর চরে বেড়াচ্ছে গরু ছাগল। ভেঙ্গে যাচ্ছে পুকুরের পাড়,একটি মূর্দা রাখা ঘর আছে সেটিও পরিষ্কার নয়,সেখানে বসে লোকজন লুডু দাবা সহ জুয়া খেলায় মত্ত। দখল হয়ে গেছে পুকুরের পুর্ব পাড়।
স্থানীয় কানাহার গ্রামের ডাঃ মোঃ সাঈদ আনোয়ার রাব্বী বলেন,কবরস্থান এর পাশেই আমার বাড়ী, আমি ছোটো বেলা থেকে দেখে আসছি এটা একটি অবহেলিত কবরস্থান, আমাদের সকলের কেউ না কেউ খুব কাছের মানুষ শুয়ে আছেন এখানে।
আমার বাবা মারা গেছেন আমি প্রতিদিন কবর জিয়ারত করতে যাই অনেকেই আসেন। দুখের বিষয় কবরস্থানটি অপরিস্কার হয়ে আছে,দেখার কেউ নেই। রাত্রীকালে লাশ দাফন করারবমতো পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। আমরা সকলে চেষ্টা করলে পরিষ্কার করতে পারি,কিন্তু লোকবল না থাকার কারণে পারছিনা। অনেক বিত্তবান রয়েছে কিন্তুু এ ধরনের কাজে সহযোগীতা করবে এমন লোকের বড়ই অভাব। তাই বিষয়টি সু দৃষ্টি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষসহ সমাজের সাবাইকে এগিয়ে আাসার আহব্বান করছি।
বিষয়টি নিয়ে কথা বললে ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র মাহমুদ আলম লিটন বলেন কবরস্থানটি পরিচালনার জন্য একটা কমিটি দরকার, খুব শিঘ্রই বিষয়টি সকলের সাথে কথা বলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
কবরস্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টন বলেন,এটি খুব
গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, খুব তাড়াতাড়ী পৌর মেয়রের সাথে কথা বলে এলাকার সকলকে নিয়ে কবরস্থান রক্ষণা বেক্ষনের জন্য একটি কমিটি করা হবে। বাকি সমস্যা গুলো দেখা হবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন জানান বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে জানানো হবে,এবং পরবর্তি মাসিক মিটিংএ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
Posted ২:৫৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২১ আগস্ট ২০২১
Desh24.news | Azad
.
.