দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি | সোমবার, ০২ আগস্ট ২০২১ | প্রিন্ট
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের চরদিয়াড় গ্রামের দিনমজুর রতন লিমার ঘর আলো করে মাস খানেক পূর্বে দুই কন্যা শিশুর জন্ম হয়। যমজ কন্যা শিশু জন্ম হওয়ার খুশিতে তাদের নামটাও রাখে হাসি, খুশি। কিন্তু করোনা মহামারীর কারনে দেশে কঠোর লকডাউন চলায় হাসি, খুশি’র দিনমজুর বাবা কর্মহীন হয়ে পড়ায় সংসার চালানোসহ তাদের দুধ কেনার টাকা জোগাড় করতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন দারে দারে। এমন কঠিন বাস্তবতায় হাসি, খুশি’র মুখ দু’টি হাসিতে ভরিয়ে রাখতে মা লিমা দুধের পরিবর্তে ভাতের মাড় খাওয়াচ্ছে কয়েকদিন ধরে।
রতন লিমা দম্পতি উপজেলার চরদিয়াড় গ্রামে বসবাস করেন। লকডাউনের আগে তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। এতে তার যায় হতো তা দিয়েই পরিবারের মুখে দু’বেলা আহার তুলে দিতেন।
সোমবার (২ আগষ্ট) সকালে দিনমজুর রতন আলীকে যমজ কন্যা সন্তানের দুধ কেনার টাকার জন্য কান্না করতে দেখা যায় বাড়ীর সামনে। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, আমি এই কঠিন সময়ে সংসার চালাতে ব্যার্থ। কয়েকদিন এর ওর কাছ থেকে ধার করে বাজার করলেও আর তাও পারছি না। দিনমজুর রতন আরোও বলেন ঘরে আমার এক মাস বয়সের যমজ কন্যা সন্তান আছে। যাদের জন্য দু’দিন পর পর ৩’শ টাকার দুধ লাগে। কিন্তু বর্তমানে আমার কাজ না থাকায় আমি দুধ কিনতে ব্যার্থ। অনেকের কাছে টাকা ধার চেয়েছি কিন্তু কেউ সহযোগিতা করেনি।
স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী জানান, বিষয়টি খুবই কষ্টের। গতকাল আমি শোনার সংগে সংগে দিনমজুর রতন আলীকে ৫’শত টাকা দিয়েছি। পরবর্তীতে সরকারী কোন অনুদান আসলে তাকে দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারকে জানালে তিনি বলেন, যমজ কন্যা শিশুর বাবা মায়ের এনআইডি কার্ড নিয়ে পিআইও অফিসে যোগাযোগ করলে শিশু খাদ্যের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
Posted ৪:০২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০২ আগস্ট ২০২১
Desh24.news | Azad
.
.