শুক্রবার ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্বশুড় বাড়িতে ঠাঁই পাচ্ছেনা অন্তসত্ত্বা শিক্ষার্থী

ডেস্ক রিপোর্ট   |   বৃহস্পতিবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট  

শ্বশুড় বাড়িতে ঠাঁই পাচ্ছেনা অন্তসত্ত্বা শিক্ষার্থী

আব্দুর রাজ্জাক,  মানিকগঞ্জ:

দীর্ঘদিনের প্রেম, গোপনে বিয়ে অতঃপর অন্তঃসত্ত্বা। পালিয়ে বেড়াচ্ছে স্বামী। এখন স্ত্রীর অধিকার আদায়ের দাবিতে শ্বশুড় বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন মার্স্টাস শেষ বর্ষের অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষার্থী নাদিরা আক্তার (২৭)। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় দিঘী ইউনিয়নের মূলজান গ্রামে।


 

গত রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মূলজান গ্রামে ওই শিক্ষার্থী বধূর শ্বশুড় আব্দুল করিমের বাড়িতে অবস্থান নেন ওই অন্তসত্ত্বা নাদিরা।

 

স্বামী মো: সাইফুল ইসলাম সদর উপজেলার মূলজান এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে। তিনি ঢাকার গোলাম একে কিবরিয়া ফার্মে সি.এ লেখাপড়া করছেন এবং স্ত্রী নাদিরা আক্তার একই উপজেলার বেতিলা-মিতরার গোপালপুর ভাদুটিয়া এলাকার নাজিম উদ্দীনের মেয়ে।

স্থানীয় দিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতার উদ্দিন আহম্মেদ রাজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অন্তসত্ত্বা শিক্ষার্থী নাদিরা আক্তার বলেন, কলেজে লেখাপড়া করার সময় সহপাঠি মানিকগঞ্জ সদরের মূলজান এলাকার মো: সাইফুল ইসলামের সাথে প্রেমের সর্ম্পক হয় এবং ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর ৬লক্ষ টাকার দেনমোহরে কাবিনে ঢাকার একটি কাজী অফিসের তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর প্রায় দুই বছর ঢাকার সাভাবের ব্যাংক কলোনীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ওই শিক্ষার্থী এখন দেড় মাসের অন্তসত্ত্বা।

ওই শিক্ষার্থী বলেন, তার স্বামী সাইফুল ইসলাম ঢাকার গোলাম একে কিবরিয়া ফার্মে সি.এ লেখাপড়া করছে। এ কারনে বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন সাইফুল। কিন্তু অন্তসত্ত্বা হয়ে পরলে আমি আমার স্বামীকে ওদের বাড়িতে নিয়ে যেতে বললে সে গত ২৪ ডিসেম্বর আমাকে তার বাবার বাড়ী মূলজানে নিয়ে আসে এবং পরের দিন শনিবার দুপুরে আবার সাভারে ফিরে যাই আমরা।

তিনি আরও বলেন, সাভার ফেরার পর থেকে সাইফুল আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করে এবং আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘদিন তার সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে বাধ্য হয়ে শ্বশুড় বাড়ি ফেরত আসি কিন্তু শ্বশুড় বাড়ির লোকজন আমাকে তাড়িয়ে দিলে সাইফুলের মামা সোহবার হোসেনের বাড়িতে আশ্রয় নেই আমি।

 

সাইফুলের মামা সোহবার হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাইফুলের বাবা অসুস্থ্য হয়ে শয্যাশায়ী আর মা ক্যান্সারের রোগী। এই কারনে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলায় আমার বাড়িতে তাকে আশ্রয় দিয়েছি এবং  চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানাইছি।

চেয়ারম্যান আখতার উদ্দিন আহম্মেদ রাজা জানান, ওই শিক্ষার্থীকে বলেছি তার বাবা মাকে নিয়ে আসতে। আর সাইফুলের বাবা মা অসুস্থ্য. তারপরেও সাইফুলকেও বাড়ীতে আনতে বলেছি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে বসে মিমাংসা করার চেষ্টা করবো।

 

এবিষয়ে স্বামী সাইফুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

তবে সাইফুল ইসলামের মা রাবেয়া বেগম জানান, ছেলে যেহেতু তার ইচ্ছায় বিয়ে করেছে, সে তার স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় থাকবে সেটা সেই ভালো জানে। সাইফুলের জায়গা আমাদের বাড়িতে নাই।

Facebook Comments Box

Posted ৮:৪২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২২

Desh24.news |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
এম আজাদ হোসেন সম্পাদক ও প্রকাশক
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়

শ্রীসদাস লেন,বাংলাবাজার , ঢাকা-১১০০/ ঘিওর, মানিকগঞ্জ।

হেল্প লাইনঃ +৮৮০১৯১১৪৭৭১৪১/০১৯১১২২৭৯০৭

E-mail: infodesh24@gmail.com