ডেস্ক রিপোর্ট | শনিবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট
আব্দুর রাজ্জাক, মানিকগঞ্জ:
দুর্বৃত্তের ছোড়া এসিডের মুখোমন্ডলসহ ঝলসে গেছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার সাথী আক্তার (১৯) নামের এক গার্মেন্টস কর্মীর। মাঝরাতে ঘরের ভাঙ্গা জানালা দিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্যেশ্য করেই দাহ্য পদার্থ ছুড়ে মুহুর্তেই ঝলসে দেয় সারাদেহ। সাথী আক্তার এখন মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। সময়ের সাথে সাথে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হচ্ছে। চোখের সামনে মেয়েকে ধুকে-ধুকে কষ্ট করতে দেখে বাবা-মায়ের কান্না যেন থামছেই না।
শুক্রবার মধ্যরাত সোয়া ২ টার দিকে গুরুতর আহতাবস্থায় সাথীকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের স্বজনেরা।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের কাটাখালী-ফেরাজীপাড়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের মেয়ে সাথী আক্তার।
প্রতিদিনের ন্যায় মা আর ছোট বোনের সঙ্গে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল সাথী। সাথীকে উদ্যেশ্য করে দাহ্য পদার্থ ছুড়লে মুহুর্তেই তার মুখোমন্ডল আগুনে ঝলসে যায়। পাশে থাকা তার মা এবং ছোট বোনের হাত এবং মুখের নানা অংশে ঝলসে যায়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সাথী আক্তারের মা জুলেখা বেগম বলেন, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে নাঈমের সঙ্গে দুই বছর আগে বিয়ে হয় সাথীর। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য সাথীকে চাপ দিয়ে অত্যাচার শুরু করে নাঈম। মেয়ের জামাই একজন বখাটে ও নেশাখোর হওয়ায় সংসার বিচ্ছেদ করা দেওয়া হয়।
এরপর থেকেই রাস্তাঘাটে মেয়েকে বিরক্ত করতে শুরু করে নাঈম। তার সঙ্গে সংসার না করলে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় নাঈম। এর জের ধরেই শুক্রবার মধ্যরাতে ঘরের ভাঙ্গা জানালা দিয়ে তার মেয়ের মুখে এসিড মেরে হাত-মুখ ঝলছে দেয় নাঈম। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তুমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
সাথীর বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আাবাসিক চিকিৎসক কাজী একেএম রাসেল বলেন, দাহ্য পদার্থে সাথীর হাত-মুখ ঝলসে গেছে। তাকে সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখানে তার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
Posted ৫:১৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২২
Desh24.news | Azad
.
.