ডেস্ক রিপোর্ট | রবিবার, ০৫ জুন ২০২২ | প্রিন্ট
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে এবার প্রথমবারের মতো ‘ফাতেমা’ জাতের ধান চাষ করে আশাতীত ফলন পেয়েছেন কৃষক। ধান কাটার পর ফলনে আশার সঞ্চার সৃষ্টি করেছে কৃষকদের। ফাতেমা ধানের গাছ, ফলন, পাতা, শীষ সবকিছু অন্য যে কোন জাতের ধানের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। প্রতি গোছে একটি চারা রোপণ করলেই তা বেড়ে ৮-১২ টি হয়। প্রতিটি ধান গাছ ১১৫ থেকে ১৩০ সেন্টিমিটার লম্বা।
প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে এ ধান চাষ করে বিঘায় ৩৬ – ৪০ মণ ধান উৎপাদন হব বলে আশাবাদী উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের মান্দারতা গ্রামের কৃষক মোঃ সামছুল হক। কৃষি বিভাগ এ ধান চাষে আগ্রহ সৃষ্টি করলে কৃষক পর্যায়ে সাড়া ফেলতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
প্রথম ফাতেমা ধান চাষী মোঃ সামছুল হক বলেন, তার জমিতে প্রথমবারের মতো ফাতেমা ধান চাষ করেছেন। রবিবার ( ৫ জুন ) সরেজমিনে এ ধান কর্তন করতে দেখা যায় এই কৃষককে।
এসময় তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতি বিঘাতে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-২৮ ধানের উৎপাদন হচ্ছে ১৬ থেকে ২০ মণ। সেখানে একই খরচে প্রতি বিঘা জমিতে ফাতেমা ধান ৩৬ থেকে ৪০ মণ উৎপাদন হতে পারে। ব্রি-২৮ ধানের চেয়ে প্রতি বিঘা জমিতে দিগুন ধান ফলন হবে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরো বলেন আমি আমার জমিতে উৎপাদিত ধান বাজারজাত করতে চাই। যাতে করে অন্যান্য কৃষকরা আমার মত আগ্রহী হয়ে উৎপাদন করে লাভবান হয়।
এব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল হক বলেন- ফাতেমা ধানের ফলন কৃষিকে বধলে দিতে পারে। কৃষক পর্যায়ে যদি এ ধান চাষে আগ্রহ করা যায় তাহলে এ ধানে চাষাবাদ বাড়তে পারে। তিনি আরো বলেন ঝড় বৃষ্টিতে মাঠের সব ধান গাছ নুইয়ে পড়ে অথচ এই ধান গাছ শক্ত ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে।
Posted ২:২৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৫ জুন ২০২২
Desh24.news | Azad
.