সাইফুল ইসলাম, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি | মঙ্গলবার, ০৩ আগস্ট ২০২১ | প্রিন্ট
মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর কালীগঙ্গা নদীর তীরে দেড় যুগেরও অধিক সময় ধরে নির্মিত পরিত্যক্ত আশ্রয়ন প্রকল্পটি মেরামত কিংবা সংস্কারের অভাবে এ প্রকল্পের ঘরগুলো জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ আশ্রয়ণ প্রকল্পটি দীর্ঘদিন নানা সমস্যায় জর্জড়িত হলেও কর্তৃপক্ষের সংস্কার কিংবা মেরামতের কোন উদ্যোগ নেই ।
উপজেলা সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন সরকার ২০০৩ সালে উপজেলার জামশা ইউনিয়নের উত্তর জামশা কালিগঙ্গা নদীর দক্ষিণ পাড় ঘেষে খাস জমিতে অসহায় দুস্থ ও ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পটি নির্মাণ করেন।
এ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬০টি ইউনিট ও ৬টি ব্র্যাক রয়েছে। যেখানে ভূমিহীন, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও অসহায় পরিবার স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পান। পাকা মেঝের ফ্লোর ভেঙ্গে গেছে অনেক আগেই। টিনের চালা মরিচীকা ধরে ছিদ্র হয়ে গেছে, লোহার এ্যাংকারও মরিচা ধরেছে। একটু বৃষ্টি হলেই চুইয়ে পানি পড়ে । ভাঙ্গাচোরা ঘরের চালায় পলিথিন দিয়ে ফুটো বন্ধ করে কোন রকম বসবাস করে আসছে তারা। পলিথিনেও বৃষ্টি ফেরানো তাদের দায়। রাত্রিতে বৃষ্টি হলে ছেলে সন্তান নিয়ে মাথায় পলিথিন দিয়ে ভাঙ্গা ঘরের এক কোনে বসে নির্ঘুম রাত কাটে তাদের। অন্যত্র সড়ে যাওয়ার কোন সুযোগ না থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে পরিত্যক্তা ভাঙ্গাচোরা ও অস্বাস্থ্যকর এ ঝুকিপূর্ণ আশ্রয়ণে বসবাস করছে। এছাড়া চিকিৎিসা সেবা বিশুদ্ধ পানির অভাব, বাথরুম-টয়লেট ভাঙ্গাচোরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ও অভাব অনটন দুঃখ কষ্ট আবাসন বাসীদের নিত্য দিনের সঙ্গী। এ যেন দেখার কেউ নেই।
শিরচুন নেছা (৭০) বলেন মেম্বার চেয়ারম্যানরা শুধু ভোটের সময় অইলে মাথা হাপটাইয়া সব দিয়ে দেয়, ভোট শেষ অই আর খবর থাকেনা। এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে আমরা বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী অসহায়রা সরকারি নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি ।
অন্ধ প্রতিবন্ধী আছমা (৬০) বলেন, করোনার কারণে ঘর থেকে বের হতে পারি না, কামাই রোজগার নাই, কেই আবাসনে সাহায্য করতেও আসে না পয়পুলাপান নিয়ে চলতে পারি না। যে ঘরটিতে থাকি সেটাও ভাঙ্গাচোরা।
ইউএনও রুনা লায়লা বলেন, উত্তর জামশা আশ্রয়ণ প্রকল্পটি পরিত্যক্ত হিসেবে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এই আশ্রয়ণ প্রকল্পটি দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে তারা স্বস্থিতে বসবাস করতে পারে।
Posted ৯:১৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ আগস্ট ২০২১
Desh24.news | Azad
.