মাহবুব আলম রাসেল | বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১ | প্রিন্ট
আর কয়েকদিন পরেই কোরবানির ঈদ। কোরবানির পশু নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের আগ্রহের কমতি নেই। তাই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও থেমে নেই পশুপালন বা কেনা-বেচা।
প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে অঞ্চল ভিত্তিক বিভিন্ন জাতের গরুর ওজন, দাম ও আলোচনায় উঠে আসে নানা বাহারি নাম। এবার দৌলতপুর উপজেলায় সেই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে ‘কালো মানিক’।
২০ মন ওজনের সিন্ধি জাতের গরুটি লালন- পালন করছেন উপজেলার জিয়নপুর ইউনিয়নের বৈন্যা গ্রামের মৃত ভাষান শেখের ছেলে আঃ জব্বার। গত ২ বছর ধরে তিনি গরুটি লালন-পালন করছেন। ১ বছর বয়সের সময় তিনি কিনে এনেছিলেন।
আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আকর্ষণীয় এ ষাঁড়টিকে দেখতে প্রতিদিনই জব্বারের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক লোকজন। ষাঁড়টি ৭৫০০০০ (সাত লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকায় বিক্রির প্রত্যাশা করছেন জব্বার ।তবে আলোচনা সাপেক্ষে দাম কমবেশী হতে পারে।
আঃ জব্বার বলেন,আমি গরিব মানুষ,অনেক আশা নিয়ে গরুটি বড় করেছি। গরুটিকে আমার সন্তানের মত করে বড় করেছি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হয়েছে।শুধুমাত্র খর,ভূসি,ছোলা, পায়রা ও ঘাস খাওয়ানো হয়েছে।বাড়িতে দুই একজন এসেছেন গরু কিনতে প্রত্যাশামত দাম না পাওয়ায় বিক্রি করতে পারছি না। লকডাউনের কারনে গরু বিক্রি নিয়ে শংকার মধ্যে আছেন বলে তিনি জানান। দৌলতপুর উপজেলায় তার গরু সবচেয়ে বড়, দাবি জব্বারের। আগ্রহী ক্রেতাদের যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি ।মোবাইল নাম্বার ০১৭৬৮৪৮৪৮১৯।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রেজ্জাক খান বলেন, আমরা ইতিমধ্যে গরুর ছবি অনলাইনে তুলে দিয়েছি। এই উপজেলায় গরুর প্রধান খাদ্য হচ্ছে ঘাস। জব্বারের গরু আমরা পর্যবেক্ষন করেছি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হয়েছে।
Posted ১২:৩০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১
Desh24.news | Azad
.