জুলহাস মোল্লা, কলাপাড়া প্রতিনিধি | বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
কলাপাড়ায় উপজেলা যুবলীগের
সভাপতি পদ প্রত্যাশী শিমু মিরা।
জুলহাস মোল্লা, কলাপাড়া প্রতিনিধি
কলাপাড়ায় ৩০ই সেপ্টেম্বর শনিবার উপজেলা যুবলীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন। ১০ বছর পর হতে যাচ্ছে এই সম্মেলন। ইতিমধ্যে ব্যানার ফেষ্টুন চাদরে ঢেকে গেছে পৌর শহরের প্রধান প্রধান পয়েন্ট। পদ প্রত্যাশীরা বিভিন্ন ভাবে প্রচার প্রচারনা করে যাচ্ছে। উপজেলা সভাপতি পদ প্রত্যাশী শিমু মীরা। ইতিমধ্যে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুবার নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ,আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান,উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের শিক্ষা প্রশিক্ষন ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু সৎ, সাহসী, মেধাবী, পরিশ্রমী একজন যোগ্য যুবনেতা। যার হাত ধরে সাগর পাড়ের গোটা যুবসমাজ একত্রিত হবেন। ইতিমধ্যে এই যুবনেতা কলাপাড়া উপজেলার গোটা যুবসমাজকে সু-সংগঠিত করার কাজে একনিষ্ঠ কাজ করে যাচ্ছেন অবিরাম। গ্রাম, মহল্লা, পাড়া,গঞ্জে চায়ের দোকান উপজেলার সর্বজায়গায় যুবনেতা শিমু মীর নামটি ফুটে উঠেছে। কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের আইকন সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু জন্মের পর থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে সংপৃক্ত। কারন তার দাদা বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম সৈয়দ আবুর হাসেম মীর সাহেব ১৯৭১ সালে নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর হাত থেকে নৌকা মার্কার প্রতীক নিয়ে আমতলী ও কলাপাড়া দুই থানার প্রথমপ্রথম এমসিএ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার যুদ্ধে সংক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহন করেন। তিনি একাধারে কলাপাড়ায় প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান ও ২নং টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসাবে ২৫ বছর দায়িত্বরত ছিলেন। তার বাবা সৈয়দ আখতারুজ্জামান (কোক্কা) তার দাদার রাজনৈতিতে সংক্রিয় থাকা অবস্থায় রাজনীতিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হন। তার বাবা ১৭ বছর ২নং টিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, ২নং টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ,উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, এবং পটুয়াখালী জেলা কৃষকলীগের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তার বাবা বর্তমানে কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এর সভাপতি হিসাবে দায়িত্বরত আছেন।
তার বাবা আওয়ামীলীগ করার কারনে ১৯৭৯ সালে বিএনপি জিয়াউর রহমানের শাষনাআমলে মিথ্যা হত্যা মামলার আসামী করা হয়। ২০০১ সালে বিএনপি জামাত ক্ষমতায় আসান পর তার বাবার উপর অমানুষিক নির্যাতন ও ডান হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে শিমু মীরার নামে ১৫ থেকে ২০টি মিথ্যা মামলার আসামী করা হয়।
শিমু মীরা আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান বিধায় ছোটবেলা থেকেই আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে বেড়ে একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনীক। ১৯৯০ সালে এরশাদ স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনের সাথে থেকে সহযোগিতা করেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় ৩০টি মামলা দিয়ে তাকে হয়রানী করা হয়। সাবেক অর্থমন্ত্রী এন.এস কিব্রিয়া,আহসান উল্লাহ মাষ্টার, মমতাজ উদ্দীনের হত্যার প্রতিবাদে ও ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে বার বার নির্যাতিত হয়। এবং অনেকবার তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু সারা বাংলাদেশ ন্যায়ে গত ২৮ই আগষ্ট ২০২২ইং তারিখ কলাপাড়ায় বিএনপির অহেতুক নৈরাজ্য প্রতিরোধ করতে গিয়ে বংশগত বিএনপি ঠেকাতে গিয়ে বিএনপির লোক দ্বারা তাকে প্রধান আসামী করে তার মামলা দায়ের করা হয়।
শিমু মীরা ১৯৯৭ সালে কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কোষাধ্যক্ষ, ২০০২সালে কলাপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। বর্তমানে ২০১২ সালে কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের তথ্য গবেষনা ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বরত আছে। ২০১৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে নৌকা প্রতীক দিলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ২নং টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে জনগনের সেবা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিঢাল বাংলা ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষে দক্ষিন অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের রূপকার দক্ষিন অঞ্চলের মানুষ যাকে উন্নয়নের মা হিসাবে আখ্যায়িত করে তিনি তাহার একান্ত সৈনিক হয়ে জনগনকে সাথে নিয়ে নিরালস ভাবে কাজ করেছেন।
তিনি ১১৪ পটুয়াখালী ৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান এর অত্যন্ত স্নেহভাজন ব্যাক্তিত্ব।
কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের আইকন মুজিব আদর্শের সৈনীক ,আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান, সংগ্রাম আন্দোলন করতে গিয়ে হামলা মামলা কারা নির্যাতিত একজন যুবনেতা।
তাই কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতির পদপ্রত্যাশী সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু।
Posted ১০:৪৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Desh24.news | Azad
.
.