ডেস্ক রিপোর্ট | বুধবার, ১০ আগস্ট ২০২২ | প্রিন্ট
স্টাফ রিপোর্টারঃ
মাদ্রাসা হেফজ খানার রুম পরিস্কার না করার অপরাধে ঘিওর উপজেলার দোতরা ব্রীজ সংলগ্ন মারকাজু রিদাহাদিত লিতাফিজিল কোরানীল কারিম ওয়াল ওলুমিস শারিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এক ছাত্রকে বেত দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে হাফেজ মাওলানা মোঃ কাউছার আহম্মদ নামে এক প্রধান শিক্ষক। আহত এতিম শিক্ষাথর্ী শান্ত (১০) কে ঘিওর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষকের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার তালুক নগর গ্রামে। সে মোঃ মোসলেম শেখের ছেলে।
এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীর বড় ভাই রতন হোসেন বাদী হয়ে ঘিওর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ হাফিজ মাওলানা মোঃ কাউছারকে আটক করে মানিকগঞ্জ কোর্টে প্রেরন করেছে।
জানা গেছে, নাগরপুর উপজেলার জালই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ মিয়ার ২য় ছেলে শান্ত (১০)। ছোট বেলায় বাবা মা মারা যাবার পরে বড় ভাই রতন হোসেনের ঘিওরের বাসা বাড়িতে থাকে। বাবার স্বপ্ন পুরনের জন্য ছোট ভাইকে ঘিওর উপজেলার দোতরা ব্রীজ সংলগ্ন মারকাজু রিদাহাদিত লিতাফিজিল কোরানীল কারিম ওয়াল ওলুমিস শারিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় তিন বছর পূর্বে ভর্তি করেন । ঘটনার দিন সকালে শান্তকে ওই শিক্ষক হেফজ খানার রুম পরিস্কার করার জন্য বলেন। কিন্তু শান্ত রুমটি পরিস্কার করে না দেওযায় মাদ্রার ২য় তলায় তাকে ডেকে নিয়ে বেত দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে। পরে মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে ঘিওর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
মামলার বাদী রতন হোসেন জানান, আমার বাবা, মা মারা যাবার পরে এতিম ভাইডারে এই মাদ্রাসায় পড়াশুনার জন্য ভর্তি করেছিলাম। কিন্ত তার উপরে যে অমানবিক অ্চারন করা হয়েছে এটা আমি মেনে নিতে পারিনা। আমি এর শুষ্ঠু বিচার চাই।
মাদ্রাসার সভাপতি আবদুল্লাহ রতন সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ৫ মাস আগে হাফেজ মাওলানা মোঃ কাউছার আহম্মেদকে মাদ্রাসায় চাকুরি দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর থেকে তাকে মাদ্রাসা থেকে বহিস্কারের সৃদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। আসলেই ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আমিনুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। আসামীকে আটক করে মানিকগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
Posted ৩:৫৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১০ আগস্ট ২০২২
Desh24.news | Azad
.