ডেস্ক রিপোর্ট | শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
শিশুটির নাম আসিফ। বয়স সাত বছরের মতো। আরো ছোটকালে গর্ভধারিণী মা মারা গেছেন ক্যান্সারে। এরপর বাবা করেছেন দ্বিতীয় বিয়ে। তখন থেকেই আসিফের দুঃখ-কষ্ট শুরু। পেটপুরে খাবারতো দুরে থাক সৎ মায়ের মারধর আর নানা ধরনের নির্যাতন সইতে হয় তাকে। সৎমায়ের আদেশ আসিফকে বাড়িছাড়া করতে হবে। জন্মদাতা বাবাও তাকে তার কাছে রাখতে পারেননি। দ্বিতীয় বউয়ের চাপে হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের সালথায় রাতের আঁধারে ফেলে রেখে যান নিষ্ঠুর পিতা।
জানাগেছে, উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে গত বুধবার (১৫) ডিসেম্বর বিকেলে অসুস্থ অবস্থায় শিশু আসিফকে অসুস্থ অবস্থায় কুড়িয়ে পান রামকান্তপুর ইউনিয়নের তেলি সালথা গ্রামের লোকমান মাতুব্বরের ছেলে সুমন মাতুব্বর। তিনি আসিফের সবকথা শুনে তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন।
আসিফ জানায়, তার পিতার নাম রেজাউল, মাতা আসমা বেগম। বাড়ি মিরপুর ১২ নম্বর বালু মাঠ মন্দিরের পাশে। আমার নানার বাড়ি রংপুর। আমার মা ৬ মাস আগে ফুসফুস ক্যান্সার রোগে মারা গেছেন। আমার বাবা নতুন বিয়ে করেছেন। নতুন মায়ের কথা মতোন বাবা আমাকে ফেলে রেখে গেছেন।
সুমন মাতুব্বর বলেন, যদুনন্দী ইউনিয়নের গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পাই। কাছে গিয়ে তার বিস্তারিত কথা শুনে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। খাবার ও স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করি।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সালথা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। এরপর সালথা থানার ওসি সাহেবের নিকট একটি লিখিত আবেদনের মাধ্যমে আসিফকে হস্তান্তর করা হয়। তিনি আরও বলেন, ওসি সাহেব আসিফের পুরো দ্বায়িত্ব নিয়েছেন।
এ বিষয়ে সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসিকুজ্জামান বলেন, প্রথমে শিশুটিকে উদ্ধারকারী সুমন মাতুব্বরের মাধ্যমে শিশুটি থানায় আনার পর আসিফের বিস্তারিত কথা শুনে আমি নিজেই ওর দ্বায়িত্ব গ্রহন করেছি। আপাতত শিশুটি থানায় আছে। থানায়ই তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার একটা সঠিক ব্যাবস্থা ও নিশ্চয়তা জীবনের ঠিকানায় পৌচ্ছাতে সাহায্যর পাশাপাশি তার অভিভাবকদের খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।
Posted ৩:৫৪ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১
Desh24.news | Azad
.