মনজু হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার | বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট ২০২১ | প্রিন্ট
পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নে বামুনপাড়া গ্রামের ১৩টি পরিবার ৩ মাস ধরে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেশী জহির আলী গং নামে ৫০ বছরের যাতায়তের রাস্তায় বাশের বেড়া ও টিন দিয়ে ঘেরে চলাচলের রাস্তটি বন্ধ করে দেয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে ১৩টি পরিবার। এ ঘটনায় পঞ্চগড় সদর উপজেলা গড়িনাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত আবেদন করা হলেও কোন সুরাহা হয়নি ১৩টি পরিবারের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সদর উপজেলা ১০নং গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের বামুনপাড়া গ্রামের খয়রুল আলম গং,মশির উদ্দিন গং,মহসিন আলি গং ও খাদেমুল ইসলাম গং, বামুনপাড়া গ্রামের দিনমজুর,ভেন চালক খেটে খাওয়া পরিবার তারা জানায়,আমরা দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করিতে থাকায় পূর্বের শত্রæতার জের ধরে গত ০৪/০৬/২০২১ ইং তারিখে একই গ্রামের জহির আলী গং,সামাদ আলী,সাইফুল ইসলাম এবং রাজ্জাক আলী সবাই একজোট হয়ে তারা দলীয় প্রভাব ও সরকারি চাকরি জীবি প্রভাব খাটিয়ে আমাদের ১৩টি পরিবারকে অন্যায় ভাবে বাড়ি থেকে বের হওয়ার যাতায়তের রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। এতে করে আমরা এই বর্ষা কালে চলাচলসহ অটোভ্যান নিয়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করিতেছি। তারা আরো জানায়, চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করার সাথে সাথে আমরা ৫ জুন ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ করি। এই লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান তাদের মিমাংসার জন্য মৌখিক ভাবে বললে তারা পরিষদে না আসায় পুনঃরায় লিখিত ভাবে বাদী বিবাদী উভয়কে ১১ জুন নোটিশে ১২ জুন ইউনিয়ন পরিষদে বসে রাস্তার সমস্যাটি মিমাংসায় কথা থাকলে বাদী পক্ষ হাজির হলেও বিবাদী পক্ষ পরিষদে হাজির হননি। বিবাদী পক্ষ পরিষদে হাজির না হওয়াতে আবারও বাদী বিবাদী কে ১৯ জুন পরিষদে হাজির হয়ে চলাচলের রাস্তার বিষয়টি মিমাংসার দিন ধার্য করার নোটিশ প্রদান করা হলেও সেদিনও বিবাদী পরিষদে হাজির হননি।
পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদী পক্ষকে ্একটি লিখিত প্রতিবেন দেয়। এই লিখিত প্রতিবেদনে উল্লেখ্ রহিয়াছে, স্থানীয় ভাবে তদন্ত করেছি ১৩ টি পরিবার প্রায় ৫০ বছর ধরে উক্ত রাস্তাটা চলাচলের জন্য ব্যবহার করে আসিতেছে। বিবাদী পক্ষকে নোটিশ করা সত্যেও তারা পরিষদে হাজির না হওয়ায় বাদীগনকে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় লিখিত প্রতিবেদনে।
এ নিয়ে বিবাদী জহির আলী গং, সামাদ আলি,সাইফুল ইসলাম এবং রাজ্জাক আলীর তারা জানান এই জমি আমাদের রেকডিয়,এতদিন আমরা তাদের ওই জায়গা দিয়ে চলাচল করতে দিয়েছি এটা সত্য। এখন ওই জায়গা আমাদের দরকার তাই রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। তারা কি ভাবে যাতায়ত করবে সেটা তাদের ব্যপার। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিমাংসার জন্য নোটিশ করেছে কিনা বিষয়টি জানতে চাইলে তারা জানায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমরা কোন মিমাংসার নোটিশ পাইনি।
এবিষয়ে সদর উপজেলা ১০নং গড়িনাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতামাস হুসাইন তিনি জানান,খয়রুল ইসলাম গং একটি অভিযোগ দেন পরিষদে। লিখিত অভিযোগে ১৩টি পরিবার তাদের ৫০ বছরের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয় জহির আলী গং এর লোকজন। বিষয়টি নিয়ে আমি স্থানীয় ভাবে তদন্ত করেছি তারা দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তাটি বাঁশের বেরা দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে। আমি বন্ধ রাস্তাটি খুলে দেয়ার জন্য লিখিত ভাবে নোটিশ করেছি বাদী পক্ষ হাজির হলেও বিবাদী পক্ষ হাজির না হওয়াতে বাদী পক্ষকে লিখিত প্রতিবেদনে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
Posted ৪:৩৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট ২০২১
Desh24.news | Azad
.
.