নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২১ মে ২০২১ | প্রিন্ট
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে রুবেল মিয়া ওরফে শাওন (৩৬)। প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ গাজী হাফিউর রহমান লিকু নামে পরিচয় দিয়ে বেড়ান সব জায়গায়। এই পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করে বেড়ায় শাওন।
ফরিদপুরে একটি খেলার অনুষ্ঠানে বিতরণের কথা বলে মানিকগঞ্জ শহরের একটি দোকান থেকে টেলিভিশন চাঁদা হিসেবে দাবি করে শাওন। এরপর টেলিভিশন দোকান মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।
গ্রেপ্তারের পর বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ দাবি করে শুধু চাঁদাবাজিই নয় গ্রামের সহজ সরল মানুষের সঙ্গে প্রতারণাও করেন শাওন। গরিবদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন নিশ্চিত করে দেওয়া এবং জেলা-উপজেলায় আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদ নিশ্চিত করার প্রলোভন দেখিয়ে বিরাট অংকের টাকা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত রয়েছে শাওন।
শুক্রবার দুপুরে মানিকগঞ্জ র্যাব ৪ সিপিসি ৩ এর সিনিয়র এএসপি উনু মং বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মানিকগঞ্জ শহরের ড্রীম টাচ নামে এক দোকান মালিকের নিকট সম্প্রতি একটি টেলিভিশন দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে টেলিভিশন দোকান মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার বেতিলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শাওনকে।
গ্রেপ্তারের পর শাওনের নিকট থেকে ভূয়া ভিজিটিং কার্ড ও প্রতারণায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞিসাবাদে প্রধানমন্ত্রীর এপিএস২ দাবি করে এসব চাঁদাবাজির বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এএসপি উনু মং।
Posted ২:৫৩ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২১ মে ২০২১
Desh24.news | Azad
.
.