মেহেদী হাসান,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: | বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শিক্ষার্থীদের দিয়ে আন্দোলন করানোর প্রতিবাদে পৌর এলাকার গোলাম মোস্তফা (জিএম) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তোজাম্মেল হোসেনের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন অভিভাবকরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় পৌর শহরের গোলাম মোস্তফা (জিএম) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় চত্তরে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা সমবেত হয়ে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া অভিভাবকরা জনায়, গত ২৫ এপ্রিল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তোজাম্মেল হোসেন বিদ্যালয়ে আগত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ রেখে ফুলবাড়ী পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করান। অভিভাবকদের প্রশ্ন, প্রধান শিক্ষক ও পৌর মেয়রের দ্বন্দের জেরে তাদের সন্তানদের কেন রাস্তায় নামিয়ে আন্দোলন করানো হলো।
এসময় অভিভাবক মো. মুকুল, মঞ্জুরুল ইসলাম ও শাহানুর আলম বলেন, বাচ্চারা বাড়িতে গিয়ে তাদের অভিযোগ করে জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষক তাদের জোরপুর্বক প্রচন্ড গরম ও রোদের মধ্যে ঢাকা-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে মানববন্ধনে অংশ নিতে বাধ্য করেন। তারা আরও বলেন, যদি ওই সময় বাচ্চাদের কিছু হয়ে যেত তাহলে কী প্রধান শিক্ষক এর দায়ভার নিতেন? আমরা বাচ্চাদের বেতন দিয়ে বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার জন্য পাঠাই। মেয়র- প্রধান শিক্ষকের গন্ডগোলে বাচ্ছাদের কেন জড়ানো হলো? তারা বিষয়টি নিয়ে নিন্দা জ্ঞাপন করে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অভিভবকরা বিদ্যালয় চত্তরে অবস্থান করে প্রধান শিক্ষক মো. তোজাম্মেল হোসেনে অপেক্ষায় থেকেও তাকে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তোজাম্মেল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে এলো সামনাসামনি কথা হবে। তিনি এখন কিছুই বলতে পারবেন না।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মিল্টন বলেন, আমি উভয়কে নিয়ে সম্মান জনক উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। অভিভাকদের এ বিষয়টি আমর জানা নেই।
উল্লেখ্য গত ১৮ এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে পৌর এলাকার ৪ হাজার ৬২১ জন অসহায় দুস্থের মাঝে ভিজিএফ এর চাল বিতরণের জন্য জিএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট কক্ষ বরাদ্দ চান পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন। বিদ্যালয়ের কক্ষ বরাদ্দ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা ঘটে। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৫ এপ্রিল প্রধান শিক্ষককে মেয়র কর্তৃক লাঞ্চিত করার অভিযোগ এনে বিদ্যালয়ের সামনে (দিনাজপুর-ঢাকা) আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
Posted ৭:৫২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩
Desh24.news | Azad
.
.