মোঃশরিফুল ইসলাম নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
মানিকগঞ্জের ঘিওরে সোমবার সন্ধ্যা ছয় ঘটিকার সময় লায়লা ও তার চাচাতো বোন মৌসুমিকে সঙ্গ বদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।
পুলিশ ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর থেকে একটি অজ্ঞাতনামা অটো রিক্সা যোগে লায়লা ও তার চাচাতো বোন মৌসুমী সন্ধ্যায় পয়লা মোর নামক স্থানে উপস্থিত হলে , চালক তাদেরকে
গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। তারা দুজন পায়ে হেঁটে কিছুদূর এগিয়ে আসলে মোহাম্মদ হৃদয় খান ২২, মোহাম্মদ শহীদ রানা ২৫, মোহাম্মদ শাহ আলম ২৫, মোহাম্মদ রনি মিয়া ২০, মোহাম্মদ ফয়সাল ব্যাপারী ২০, মোহাম্মদ তামিম হোসেন ২৬, মোহাম্মদ সাকিব হোসেন ৩০, মোঃ হাসান আলী ৪৫, তাদের পথরোধ গতিরোধ করে। তাদের দুজনের কাছে মোবাইল নাম্বার চায়, মৌসুমী বেগম মোবাইল নাম্বার দিতে অস্বীকার করলে , হৃদয় খান তাকে থাপ্পড় মেরে ফেলে দেয়, সাথে সাথে মৌসুমী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর যখন সে দাঁড়াতে যায় তখন হৃদয় খানের সাথে থাকা অন্যান্য সহযোগীরা তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ সহ স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। এবং তাদেরকে রাস্তার পাশে ভুট্টা খেতে জোরপূর্বক নিয়ে গিয়ে ৮ জন সহ আরও ৩-৪ জন মিলে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গণধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে লায়লা বেগম বাদী হয়ে ঘিওর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(৩)/৩০ তৎসহ ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড রুজু হয়।
এ বিষয়ে ঘিওর থানা অফিসার ইনচার্জ মো: আমিনুর রহমান বলেন, আমি দর্শনের ঘটনাটি জানার পরপরই ওসি তদন্ত জাকির হোসেনকে নির্দেশ দিলে তিনি বিভিন্ন জায়গা অভিযান পরিচালনা করে ৭ আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
Posted ৭:০৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩
Desh24.news | Azad
.