আব্দুর রাজ্জাক মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি | শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ব্যতিক্রমী নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে আবহমান বাংলার
চিরায়ত পৌষ পার্বণ নবান্ন উৎসব। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী উপজেলার
বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের সাইংজুরী রামেশ্বরপট্টি কালিগঙ্গা নদীর পারে এ
উৎসবের যৌথ আয়োজক ইস্পাহানি পার্বণ ও প্রথম আলো ডটকম।
গ্রামীণ সংস্কৃতির বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে শত শত মানুষ হাজির হন। নদীর পাড়
সাজানো হয় সুদৃশ্য সাজে। আঁলপনায় ছেয়ে যায় পুরো গ্রাম। খাবার পরিবেশন
করা হয় পার্বণ চালের ভাত, আলু ভর্তা, ডাল, নবান্নের বাহারি পিঠা পুলি,
পায়েস, খিচুরি। তারকাদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়া
দিনব্যাপী স্থানীয় শিল্পীদের গাজী-বাউল-বৈঠকি-ধুইয়া ও প্রচলিত গানের
পরিবেশনা উপভোগ করেন শত শত মানুষ। নাগরদোলায় শিশুদের উপচেপড়া ভীড় ছিল।
উৎসব প্রাঙ্গণে বিভিন্ন খাবারের স্বাদ উপভোগ করেন আগত দর্শকরা। গান
পরিবেশন করেন দেশ ‘নয়া দামান’খ্যাত সংগীতশিল্পী তসিবা বেগম, স্থানীয়
শিল্পী আবদুল কুদ্দুছ, কালাচাঁন বয়াতি, আক্কাছ আলী। রম্য কৌতুক পরিবেশন
করেন মীরাক্কেল’খ্যাত কমেডিয়ান শাওন মজুমদার। দর্শনার্থীদের জন্য ছিল
বিভিন্ন খেলাধুলা ও কুইজ প্রতিযোগিতা। পরে বিজয়ীদের আকর্ষণীয় পুরষ্কার
প্রদান করা হয়।
নদীর পাড়ের উৎসব প্রাঙ্গনজুড়ে থাকে পার্বণ চালে তৈরি বিভিন্ন ধরনের
পিঠাপুলির স্টল। স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত শস্য, চানাচুর, মিষ্টি,
মনোহারী, কুটির শিল্প, প্রসাধনসামগ্রী, মাটির তৈজসপত্র, খেলনা, নকশী
কাঁথা ও তাঁতের গামছা- শাড়ি, প্রাকৃতিক কৃষির চাষিদের নিরাপদ খাদ্য,
গ্রাম গবেষণা পাঠাগারসহ নানা স্টল।
উৎসবে উপস্থিত ছিলেন দেশবরেন্দ্র কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, ইস্পাহানি
এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক ফৌজিয়া ইয়াসমিন, জিএম ব্রান্ড মার্কেটিং এইচ এম
ফজলে রাব্বি, প্রথম আলোর বিজনেস হেড জাভেদ সুলতান পিয়াস, অভিনয়শিল্পী মীর
সাব্বির, প্রাকৃতিক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক দেলোয়ার জাহান, মানিকগঞ্জ
প্রেসক্লাব সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু, সুজনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক
জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, সংগীতশিল্পী তসিবা বেগম, কমেডিয়ান শাওন মজুমদার,
জয়ীতা নারী মল্লিকা ইয়াসমিন, প্রথম আলোর মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুল
মোমিন, ঘিওর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ, কাজী মাহেলা।
আয়োজনটি উপস্থাপনা করেন মৌসুমী মৌ।
এসময় বক্তারা বলেন, নবান্নের এই দিনে আমরা গ্রাম বাংলার হাজার বছরের
লোকায়ত চর্চার দিকে শ্রদ্ধার সহিত ফিরে দেখতে চাই। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আমরা
সবকিছুকে হারিয়ে দিতে পারিনা। আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে লোকায়ত সংস্কৃতি
সংরক্ষণে শপথ নিতে চাই।
Posted ৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩
Desh24.news | Azad
.
.