এস এম আলমগীর হোসেন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি | বুধবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
কলাপাড়া উপজেলার পুরান মহিপুর এলাকার কৃষক মনোতোষ পাইকে মারধর করে জখম ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার প্রচেষ্টা প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার কলাপাড়া প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন মনোতোষ পাইকের পরিবার ও এলাকার লোকজন।
সংবাদ সম্মেলনে মনোতোষ পাইকের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মানস সরকার। লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি একজন গরীব কৃষক নিজের জমি যায়গা না থাকায় অপরের জমি বড়গা কিংবা একসনা রাখিয়া হালুটি করিয়া সংসার চালাই। চলতি বছরে আমার বাড়ীর সামনে কলাপাড়া শ্রী শ্রী মদন মোহন সেবা আশ্রয়ের প্রায় ৩ (তিন) কানি জমি আছে যাহার রক্ষনা বেক্ষন এর দায়িত্ব স্থানীয় মানস সরকার। আমি সহ আরো অপর ৫ জন গরীব কৃষকরা প্রায় ১৮ বছর উক্ত জমি ধানকড়ালি হিসাবে রাখিয়া চাষাবাদ করি। আশ্রমের জমি ও উত্তম হালদার, মিলন হালদার, সঞ্জয় হালদার, দীপক হালদার, দিলিপ হালদার, সঞ্জিব হালদার জমি পাশাপাশি থাকায় তাদের স্বার্থ উদ্ধার করার হীন উদ্দেশ্যে গত ২ বছর পূর্বে আশ্রম কর্তৃপক্ষকে না জানাইয়া গভীর রাতে বেকু মেশিন দ্বারা মাটি কাটিয়া নেয়। জমি মধ্যখানে একটি ডোবা আছে তারা ঐ খাল গভীর করে মাছ ধরে। আমাদের জমির মধ্যে তাদের ডোবার পানি ফালায়, তাদের মাছ ধরা শেষ হইলে ডোবার বাদ কাটিয়া আমাদের জমির ডোবার মাছ নিয়ে যায়। গত ৩১ জানুয়ারি রাত দশটার দিকে আমরা এ কাজে বাধা নিষেধ করলে তারা হাতে লাঠি, লোহাড় রড লাঠি নিয়া আমাকে মারপিট করে আমার মাথায় গুরতর জখম করে। আমি ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয়রা আমাকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। আমার মাথায় ৩/৪টি সেলাই লেগেছে। পরবর্তীতে আমাকে হয়রানী করার জন্য মিলন হালদার তার মাথায় নিজেরা ব্লেড দিয়া আঘাত দেখাইয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে তারা বরিশালে রেফার হয়ে বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানী করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত আছে। প্রতিপক্ষ গৌতম হালদারের এক ভাই পুলিশ সদস্য হওয়ায় তারা সব সময় ভয়ভীতি দেখায়
Posted ৭:২৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Desh24.news | Azad
.