শনিবার ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাগরপুরে সৎ মা ছেলেকে হত্যা করতে কিলার ভাড়া করে

মোঃ মাসউদুর রহমান   |   সোমবার, ০১ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট  

নাগরপুরে সৎ মা ছেলেকে হত্যা করতে কিলার ভাড়া করে

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ছেলেকে হত্যা করতে লোক ভাড়া করেন সৎ মা সেলিনা বেগম। এমন অভিযোগ করেছেন সৎ ছেলে মো. সজীব মিয়া (২৫)। সে উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড, কলিয়া গ্রামের প্রবাসী মো. আব্বাসের ছেলে। গত ২২ মার্চ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মামুদ নগর ইউনিয়নের শুনশী গ্রামে পরিকল্পিত এঘটনা ফাঁস করে দেয় ভাড়াটিয়া দুর্বৃত্তরা। সৎ মায়ের এমন ঘটনায় এলাকা জুড়ে বিরাজ করছে নানা গুঞ্জন।এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী সজিব মিয়া ছুটিতে বাড়ি এসে গত শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে তার শ্বশুর বাড়ি শুনশী গ্রামে যায়। বিকেলে অপরিচিত নম্বর থেকে তাকে কয়েক বার ফোন করে শুনশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ডেকে নেয়। সজিব তাদের দেখে ভয় পেয়ে যায়। তখন অপরিচিত লোকেরা সজিবকে অভয় দিয়ে শর্ত সাপেক্ষে সৎ মায়ের সকল পরিকল্পনা ফাঁস করে দেয়। তারা বলে, সজিবের সৎ মা ও কালিয়া গ্রামের মো. রবিউল ইসলাম টেনু দুজনে মিলে মোটা টাকার বিনিময়ে সজিবকে হত্যা করার জন্য তাদের কে ভাড়া করা হয়।এলাকাবাসী আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রবিউল ইসলাম টেনুর সাথে প্রবাসী আব্বাসের স্ত্রী সেলিনা বেগমের পরক্রিয়া প্রেম রয়েছে। টেনু প্রতিনিয়ত সেলিনার বাড়িতে যাতায়াত করে। প্রবাসী স্বামীর অর্থ সম্পদ টেনুর পিছনে ব্যয় করে সেলিনা বেগম। ছেলে বাড়িতে থাকলে তাদের এই নিলা কীর্তন নির্ভিগ্নে চালিয়ে যেতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। এমন সন্দেহে সেলিনা ও টেনু সজিবকে মারার পরিকল্পনা করে। মারার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নাগরপুর থানায় সৎ মা সেলিনা বেগম একটি অভিযোগ দায়ের করে।অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সজিবের শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্ত্রীকে হয়রানি করলে সজিব নিজে হাজির হয়ে পুলিশের কাছে আসল ঘটনার বর্ণনা দেয়। পরে সজিবের কথা অনুযায়ী সৎ মাকে পুলিশ জিজ্ঞাসা করলে, সজিবকে মারার পরিকল্পনার বিষয়টি স্কীকার করে সেলিসা বেগম। মো. সজীব মিয়া বলেন, গত শুক্রবার বিকেলে আমাকে ফোন করে শুনশী স্কুলের সামনে যেতে বলে। আমি সেখানে গিয়ে অপরিচিত লোক দেখে ভয় পেয়ে যাই। আমাকে তারা মারবে না বলে ভয় পেতে মানা করে। আমার সৎ মা ও টেনু দু’জনে মিলে মোটা টাকার বিনিময়ে আমাকে মারার জন্য তাদের ভাড়া করেছে। আমি তাদের একথা বিশ্বাস করি না। তখন আমার সৎ মায়ের নম্বরে ফোন করে আমাকে মেরে অজ্ঞান করে ফেলে রেখেছে। বাকী টাকা পাঠিয়ে দিতে বলে। একথা শুনে সৎ মা তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করতে বলে। আর টেনুকে দিয়ে বাকী টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছে বলে ফোন রেখে দেয়। তারা আমাকে প্রাণ ভিক্ষা দিয়ে চলে যায়। ওই সময় থেকে আমি আত্মগোপনে থাকি। সৎ মায়ের ভয়ে আমি এখন চাচার বাড়িতে আছি। সৎ মা ও টেনুর কঠিন শাস্তির দাবি করেন সজিব।প্রবাসী আব্বাস সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে চান না।

Facebook Comments Box


Posted ৮:০৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০১ এপ্রিল ২০২৪

Desh24.news |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
এম আজাদ হোসেন সম্পাদক ও প্রকাশক
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়

শ্রীসদাস লেন,বাংলাবাজার , ঢাকা-১১০০/ ঘিওর, মানিকগঞ্জ।

হেল্প লাইনঃ +৮৮০১৯১১৪৭৭১৪১/০১৯১১২২৭৯০৭

E-mail: infodesh24@gmail.com