
ডেস্ক রিপোর্ট | বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
রামপ্রসাদ সরকার দীপু, স্টাফ রিপোর্টারঃ
মানিকগঞ্জ ৭টি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের আম গাছগুলোতে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি। নানা ফুলের সঙ্গে আমের মুকুলেও সৌরভ ছোড়াচ্ছে। সেই মুকুলে সুমুধুর ঘ্রাণ আন্দোলিত করে তুলে মানুষের মন। আর দুই তিন সপ্তারের মধ্যেই ঘিওর, দৌলতপুর , শিবালয়ম হরিরামপুর, সাটুরিয়া, সিংগাইর পৌরসভার সর্বত্রই মুকুলে মুকুলে ছেয়ে যাবে। রাস্তার পাশে, বাড়ির আঙ্গিনায় এবং বিভিন্ন নাসার্রিতে বিভিন্ন জাতের আমের মুকুলে ভরে গেছে। তবে এবার ব্যাম্পার ফলেনের আশা করছে অনেক বাগানের মালিক।
মানিকগঞ্জের ঘিওর, সিংগাইর ও সাটুরিয়াতে আম গাছগুলোতে এবার প্রচুর মুকুল ধরেছে। মুকুল থেকে অনেক আম গাছে মুকুল ধরতে শুরু করেছে। তবে এবার আমের মুকুলে পোকা- মাকড়ের উপদ্রব বা অন্য কোন সমস্যা না দেখা দিলে ফলন ভাল হবে। আমের সোনালি মুকুলের ভারে নুয়ে পড়ার উপক্রম প্রতিটি গাছের ডাল। এবার গাছে গাছে অনেক বেশি মুকুল হয়েছে বলে সবাই বেশ খুশি। এমন দৃশ্য দেখে অনেকে ভাবতে শুরু করেছে এবার এ উপজেলায় আমের ফলন ভালো হবে এবং স্বল্প আয়ের মানুষও আমের স্বাদ সহজেই নিতে পারবে।স্থানীয় বসতবাড়ীর আম চাষীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমের ফলন নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন বাগান মালিকরা। আবহাওয়া ঠিক থাকলে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোন ক্ষতি না হলে ও সময়মতো পরিচর্যা হলে গত বছরের তুলনায় এবছর চলতি মৌসুমে আমের ভালো ফলন হবে। আমের সোনালি মুকুলের ভারে নুয়ে পড়ার উপক্রম প্রতিটি গাছের ডাল। এবার গাছে গাছে অনেক বেশি মুকুল হয়েছে বলে সবাই বেশ খুশি।
স্থানীয় সুত্রে ও সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলাতেই আম গাছগুলোতে প্রায় দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে থেকেই সোনালী মুকুল দেখা দিতে শুরু করেছে। এখন সময়ের ব্যবধানে তা আরো বাড়ছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর গাছে মুকুলের পরিমাণ বেশি। এখানে বাগান করে আম চাষ কম হলেও প্রতিটি ভিটে বাড়ির আঙ্গিনার চারপাশে আমের গাছ রোপণ করা হয়। আর এসব আম গাছ গুলোতে শোভা পাচ্ছে আমের সোনালী মুকুল। আম চাষি এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
ঘিওর উপজেলার নির্জর নার্সারির মালিক মোঃ রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানান, গত কয়েক বছর যাবত আমাদের নার্সারিতে বিভিন্ন ধরনের প্রচুর আম গাছ বিক্রি হয়েছে। বিভিন্ন আম গাছগুলোতে মুকুল আসার আগেই আমরা বাগানের পরিচর্যা শুরু করেছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে ফাল্গুনের শেষ দিকে পুরো আম গাছগুলোতে মুকুলে ছেয়ে যাবে। তবে বসন্তের আগমনি বার্তায় বর্নিল সাজে আমের মুকুলের ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে আপন মহিমায়। এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আমের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি জানান।
Posted ১২:৪১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
Desh24.news | Azad
.
.