ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | রবিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
আগে হোটেলে কাজ করতেন,করোনার কারনে হোটেল ব্যাবসা মন্দা চলছিল। আয় রোজগার ছিলো না। অভাবের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো। শুরু করেন বাশের তৈরী আসবার পত্র বেচা-কেনা।
যদিও সেগুলো নিজে তৈরী করেতে পারেননা। তাই পার্শবর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার খালিদপুর থেকে বাশের তৈরী এসব আসবার কিনে এনে হাটে হাটে বিক্রি করেন তিনি। এ দিয়ে যা আয় হয় তাতেই দুমুঠো ডাল ভাত খেয়ে চলে যায় তার সংসার।
বলছিলাম দিপু সামন্তের কথা,তার বাড়ী দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর পুরাতন বন্দর গ্রামে। তার বাবা মৃত খট্টু সামন্ত।
ফুলবাড়ী পৌর বাজারের মুড়িহাটি নামক স্থানে দেখা মেলে দিপু সামন্ত নামের এই যুবকের। সেখানে ধামা,কুলা,ডালী,করপা,চালন,ডারকি,টরপা,খৈচালাসহ হরেক রকমের বাশেঁর তৈরী আসবারপত্র পরশা সাজিয়ে বসে আছেন তিনি।
কথা হয় দিপু সামন্তের সাথে, তিনি জানান ২৫ বছর ধরে পৌর শহরের বিভিন্ন হটেলে শ্রমিকের কাজ করতেন। করোনার কারনে দির্ঘদিন হোটেল ব্যাবসা মন্দা চলছিল। তাই অনেক কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে সংসার চালাতো। সংসারের একমাত্র উপার্জনশীল মানুষ কর্মহীন হয়ে হতাশায় পড়েন, বাবার দেয়া পৌনে দুইশত বাড়ীর ভিটে মাটি ছাড়া কোনো সম্পদ নেই তার। কিভাবে চলবে সংসার ভেবেই দিশেহারা দিপু। এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেন নিজে কিছু করবেন। তাই বাড়ীর পোষা একটি ছাগল ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন, সেই পুজি দিয়ে শুরু করেন ব্যাবসা।
তিনি বলেন বাঁশের তৈরী এসব পন্য কিনে এনে, এক বছর ধরে গ্রামের হাটে হাটে বিক্রি করেছেন। গ্রামের অনেক মানুষ যেহুত কৃষি নির্ভর, তাই ধান কাটা হলে এই ব্যাবসার সিজিন টাইম,তখন গৃহস্থের হাতে টাকা থাকে, বেচা কেনাও ভালো হয়। সিজিনে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তা থেকে প্রতিদিন ৫০০টাকা মতো আয় হয়। বর্তমানে সিজিন খারাপ তাই প্রতিদিন ৭০০-৮০০ টাকা বিক্রি হয়। এতে দুই-তিনশ টাকা আয় হয় তা দিয়ে পরিবারের মা,দুই ছেলে এবং তারা স্বামী স্ত্রী মিলে কনো রকমে সংসার চলে। দিপু আরো বলেন সময় মতো সিদ্ধান্ত না নিলে কি যে হতো ভগোবানই যানে। কোরোনায় পেশা বদলালেও নিজে কিছু করছি এটা ভেবেই বেশ ভালো লাগে। আয় কম হলেও এতে যে আত্মতৃপ্তি আছে,তা বলে বোঝানো যাবেনা।
Posted ৯:৩৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
Desh24.news | Azad
.