।।মাহবুব আলম রাসেল।। | শুক্রবার, ১৩ আগস্ট ২০২১ | প্রিন্ট
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা থেকে কলিয়া বাজার পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে অসংখ্য গাছ রোগাক্রান্ত হয়ে মরে গেছে। বছরের পর বছর ধরে মরে পড়ে আছে গাছ গুলো। দেখার কেউ নেই। ঝড়-বৃষ্টিতে মাঝেমধ্যেই মরা গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ঘটে দূর্ঘটনা। এই অবস্থায় পথচারী, যাত্রী ও যানবাহন চালকেরা ঝুঁকি নিয়ে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নব্বই দশকে দৌলতপুর থেকে কলিয়া বাজার পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে একাশিয়া, আকাশমনি, শিশু সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়। সেগুলো এখন বিশাল বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। দৌলতপুরের সাথে তিনটি ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক এটি। এছাড়াও জেলায় শহরে যাওয়ার জন্য এই সড়কটি অসংখ্য মানুষ ব্যবহার করে থাকে। সড়কে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে । কয়েক বছর ধরে গাছগুলো মরছে। প্রথমে গাছের পাতা ঝরে পড়ে যায় পরে ধীরে ধীরে গাছ শুকিয়ে মারা যায়। অনেকের বসত বাড়ির সীমানা ঘেষা গাছ দীর্ঘদিন মরে আছে। ওই সব বাড়ীর লোকজনকে সবসময় আতংকের মধ্যে থাকতে হয় ।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের ব্র্যাক মোড়, চকমিরপুর , কালীবাড়ি, টেপরী,গাজীছাইল, উলাইল, ছিলামপুর, কালিদহ ও কলিয়া এলাকায় সড়কের দুই পাশের অসংখ্য গাছ শুকিয়ে মরে গেছে। কোনোটিতে ঘুণ ধরেছে, আবার কোনোটিতে কাঠপোকা বাসা বেঁধেছে। মরা কয়েকটি গাছ সড়কে হেলে পড়েছে। যেকোনো সময় পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী শঙ্কিত।
উলাইল গ্রামের এড. জহিরুল ইসলাম শরিফ বলেন, আমাদের গ্রামের খেলার মাঠের কর্নারে অনেক বড় একটি গাছ কয়েক বছর ধরে মরে আছে। প্রতিদিনি মাঠে খেলাধুলা চলে। এই গাছটি ভেংগে যে কোন মূহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি গাছ আমরা চাইলেও কাটতে পারি না।কর্তপক্ষের কাছে অনুরোধ যত দ্রুত সম্ভব গাছটি অপসারণ করে।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরুল হাসান বলেন, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী মরা গাছের ডালপালা কাটতে কোন অনুমতি লাগবে না কিন্তু গাছ কাটতে বন বিভাগ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হয়। আমি তাদের সাথে কথা বলে যত দ্রুত সম্ভব মরা গাছগুলো অপসারণের ব্যবস্থা করবো।
Posted ৯:১৮ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৩ আগস্ট ২০২১
Desh24.news | Azad
.
.