ডেস্ক রিপোর্ট | শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট
মোঃ খায়রুল বাশার (মিঠু) ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ঈশ্বরদীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খায়রুল ইসলাম নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় আরও ১৫ জন আহত হয়েছে।শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি আলহাজ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খায়রুল ইসলাম লক্ষীকুণ্ডা ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামের নছিম প্রামানিকের ছেলে ও সাহাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি ছিলেন।
আহতরা হলেন- মসলেম মন্ডলের ছেলে আব্দুল মজিদ মন্ডল, জলিল ফকিরের ছেলে জামাত আলী ফকির, ইউসুফ আলীর ছেলে পিন্টু, শাহাদত হোসেনের ছেলে জমির উদ্দিন, জলিল ফকিরের ছেলে নাছির উদ্দিন ও রাসেল, আনছার প্রামানিকের ছেলে সাজু প্রামানিক, হানিফ হোসেনের ছেলে রব্বেল হোসেন, সাত্তার হোসেনের ছেলে সানাউল্লাহ মন্ডল, হিরাজ সরদারের ছেলে কহর আলী সরদার, ইয়ারুল সরদারের ছেলে আলিম সরদার, হালিম মন্ডলের ছেলে আলিম মন্ডল, মোজাম প্রামানিকের ছেলে জিল্লু প্রামানিক ও ইছাহক হোসেন আহত হয়। আহতদের ঈশ্বরদী, পাবনা ও রাজশাহীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের ভাতিজা আলিফ হোসেন বলেন, জমি সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে চরগড়গড়ি গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, শাহীন ও মজনুসহ ৩০-৩৫ জনের একটি গ্রুপের সঙ্গে একই গ্রামের সাজু প্রামানিকের গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় খায়রুল দুপক্ষের বিরোধ মিটাতে গেলে রিয়াজুল ও মজনুর লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে খায়রুলের ঘাড়ের নিচে কোপ দেয়। এরপর তাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, জমি সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মরদেহ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
Posted ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
Desh24.news | Azad
.