এস এম আলমগীর হোসেন পটুয়াখালী প্রতিনিধি | বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
পটুয়াখালী কলাপাড়ায় স্বামীর বাড়ির দ্বি-তলা টিনের বসত ঘরের রুয়া/আড়ার সাথে ওড়না প্যাচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় মোসা: মুক্তা বেগম(২২) নামের গৃহবধূর গৃহববধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় মৃত গৃহবধূর স্বামী ইমরান প্যাদা কে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব-টিয়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই রাতে মৃত গৃহবধূর বাবা মোঃ মাহতাব মাতব্বর বাদী হয়ে মেয়ে’র জামাই ইমরান প্যাদা, শশুর সোলেমান প্যাদা, শাশুড়ি জোসনা বেগম ও ননদ মোসা: সুমা বেগম সহ ৫ জন কে আসামি করে কলাপাড়া থানা একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত মুক্তা বেগম সাথে গত ২(দুই) বছর পূর্বে স্বামী ইমরানের বিবাহ হয়। তাদের সংসারে ১(এক) বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। ঘটনার দিনে স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও ননদ পাশ্ববর্তী এক আত্মীয়র বাড়িতে বিয়ের আমন্ত্রণে যায়, মুক্তা বেগম না গিয়ে শরীর খারাপ অজুহাতে একলা বাসায় থেকে যায়। তারা অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে বাড়িতে ফিরে ঘরের দুটি দরজা আটকানো দেখতে পায়। এরপর ননদ মোসা: সুমা আক্তার জানালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে, দ্বী-তলায় উঠে ভিকটিমকে রুয়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়, পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
মৃত মুক্তা বেগম’র মা রানী বেগম চোখের জলে আপন নিউজ কে বলেন, আমার মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে হত্যা করেছে, বিয়ের পর থেকেই যৌতুক সহ নানা অজুহাতে তার মেয়ের উপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে, ঘটনার দিন তার মেয়ে তাদের বাড়ি ছিল, শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাদের আত্মীয় বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে এনে তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। এবং আত্মহত্যার নাটক সাজায়। আমি এর বিচার চাই।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জসীম আপন নিউজ কে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে, ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ঘটনায় মৃত মুক্তার বাবা থানায় একটি মামলা করেছে, ময়নাতদন্ত শেষে বোঝা যাবে এটা আত্মহত্যা না হত্যা, এ মামলার প্রধান আসামি মৃত মুক্তার স্বামী ইমরান প্যাদা কে আটক করা হয়, বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Posted ১১:৪৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
Desh24.news | Azad
.
.