দৌলতপুর কুষ্টিয়া প্রতিনিধি | সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা ৪৬১বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বৃহৎ একটি উপজেলা। ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় প্রায় ৪৭ কিলোমিটার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। যার মধ্যে এখনো অরক্ষিত আছে অবস্থায় আছে ১৭ কিলোমিটার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত। যেখানে এখনো কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়নি। এই উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার একটি গ্রাম বিলগাথুয়া। সীমান্ত ঘেষা এই গ্রামটির তিন পাশে রযেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। তাই খুব সহজেই মাদক পাচারের একটি নিরাপদ রুট হিসাবে গ্রামটিকে ব্যবহার করে মাদক ব্যবসায়ীরা। এদিকে বিলগাথুয়া সীমান্তবর্তী গ্রাম হওয়ার কারনে সেখানে প্রশাসনের নজর দারি থাকে কম। মাদকের অভয় অরণ্য খ্যাত এই গ্রামটিতে দীর্ঘদিন যাবৎ দু’দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে চলে আসছে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই। দীর্ঘদিনের এই আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৭ই (ফেব্রæয়ারী) শুক্রবার বিকেল সন্ধায় বিলগাথুয়া গ্রামের শীর্ষ মাদক স¤্রাট সেন্টু ও আকিদুল গ্রæপের মধ্যে স্থানীয় একটি বাজারে হাট বসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেসময় সংঘর্ষ ও ককটেল বিষ্ফোরণে রাজিব (২৫), মঞ্জু (৫০), মিলন (৪০) ও কাবের (৫০) গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর ও কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মঞ্জু মন্ডল ও রাজিবকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঞ্জু মন্ডল মারা যান। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০১নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মঞ্জু মন্ডল উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন বিলগাথুয়া গ্রামের নুর হোসেন মন্ডলের ছেলে।
এদিকে মঞ্জু মন্ডেলর মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষের লোকজন তৌহিদুল মালিথা, মহিদুল মালিথা, আশরাফুল ইসলাম মালিথা ও চাঁদ আলী মালিথাসহ প্রায় ২০টি বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এসময় ওইসব বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় গরু, ছাগল ও ঘরের মূল্যবান আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায় বলে তারা ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটের ঘটনার খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশসহ আইশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। হত্যাকাÐের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামটি বর্তমানে পুরুষশূন্য অবস্থায় রয়েছে। গ্রামটিতে বসবাসরত সাধারন সাধারণ জনগণ চরম আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠের মধ্যে দিয়ে বসবাস করছেন। অচিরেই এই মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তম‚লক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রামটিতে বসবাসকৃত সাধারণ মানুষ।
হত্যাকান্ড পরবর্তী সার্বিক বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
Posted ৬:৩০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
Desh24.news | Azad
.
.