ঘিওর মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি | শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার সন্দেহে মানিকগঞ্জের ঘিওরে শাহজাহান মিয়া নামক এক ব্যক্তিকে এলাপাথারী পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে। মারাত্নক আহত শাহজাহানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা বারোটার দিকে উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের পঞ্চরাস্তা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে ঘিওর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এমন অভিযোগ উঠেছে পয়লা ইউনিয়নের বাইলজুরী গ্রামের মৃত বাহর শেখের ছেলে মোঃ মইজুদ্দিন ( ৪৫ ), তার পুত্র লিমন ( ১৮ ) সহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে। মোঃ মইজুদ্দিন স্থানীয় কাঠ ও স’মিল ব্যবসায়ী। সে পয়লা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। এ ঘটনায় আহত শাহজাহান মিয়া একই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের নলকুরিয়া গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে। সে পেশায় ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালক। তিনি ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসধীন রয়েছেন। মারধরের শিকার শাহজাহান বলেন, মোটর সাইকেল ভাড়া নেয়ার কথা বলে মইজুদ্দিন আমাকে পঞ্চরাস্তার পশ্চিম পাশে তার স’মিলে ডেকে আনেন। এসময় তারা স’মিলের ভেতরে নিয়ে আমাকে বলে তুই আমার মেয়ে মিতুর বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছিস। তোকে আজ শিক্ষা দেব। আমি তখন বলি, আমি বিয়ে ভাঙ্গি নাই। প্রমান দেন, যে কোন শাস্তি মেনে নেবো। আমার কথা শেষ করার আগেই মইজুদ্দিন কাঠের বাটাম দিয়ে আমাকে এলাপাথারী মারতে থাকে। এর সাথে মইজুদ্দিনের ছেলে লিমন, তার ভাই মফিজুল ও ভাতিজা আমিরুল আমাকে এলোপাথারি লাথি, ঘুষি মারতে থাকে। আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে ঘিওর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় শাহজাহানের মাথায় ব্যান্ডেজ করা। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: জান্নাত বলেন, মাথায় নয়টি সেলাই করা হয়েছে এবং আঘাতটি অনেক গভীর ও গুরুতর। এসময় শাহজাহানের ছেলে পারভেজ বলেন, আমরা গরীব মানুষ। মিথ্যা অভিযোগে আমার বাবাকে অমানবিকভাবে মেরেছে। তারা বড়লোক, অনেক ক্ষমতা। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। এ ব্যাপারে জানতে মোঃ মইজুদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তাঁদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িতে গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রতিবেশী বলেন, মইজুদ্দিনের মেয়ে মিতুর সম্প্রতি বিয়ে ঠিক হলেও তা অজ্ঞাত কারনে ভেঙে যায়। তখন মইজুদ্দিন এক কবিরাজের শরনাপন্ন হন। ওই কবিরাজ না কি বলেছে, তার মেয়ের বিয়ে ভেঙে দিচ্ছে শাহজাহান ও স্থানীয় আনোয়ার হোসেন (মইজুদ্দিনের দুরসম্পর্কের আত্নীয়) নামক দুই ব্যক্তি। এই রাগে মইজুদ্দিন শাহজাহানকে সন্দেহের বশে পিটিয়েছে। ঘিওর থানার ওসি মোঃ আমিনুর রহমান বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Posted ৯:১৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩
Desh24.news | Azad
.
.