রামপ্রসাদ সরকার দীপু, | সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
মানিকগঞ্জের ঘিওর- বড়টিয়া এ‘ দুটি ইউনিয়নের গোলাপনগর-কৃষ্ণপুর –কাহেতারা রাস্তাটির কাজ দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকায় এই দুটি ইউনিয়নের প্রায় ৮টি গ্রামের হাজার হাজার লোকজনের যাতায়াতের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি পায় ১৩ মাস যাবৎ কাজ বন্ধ রেখে চলে যাওয়ায় এই অঞ্চলের লোকজনসহ স্কুল কলেজের শিক্ষাথী যাতায়াত ও ব্যবসায়ীদের পণ্য সামগ্রী আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ঘিওর উপজেলা এলজিএডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘিওর-গোলাপনগর ভায়া বড়টিয়া ইউনিয়ের ২টি আইআরআরডিপি -থ্রি প্রজেক্ট এর আওতায় সাড়ে তিন কিলোমিটার কাপেটিং রাস্তার জন্য ৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মের্সাস এমএই এন্ড এমএমসিকেভি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। ১-০১-২২ সালে কাজটি শুরু করে ১৫-০৫-২২ শেষ করার কথা । কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি শুধু মাত্র মাটি এবং কিছু স্থানে খোয়া ফেলে কাজটি বন্ধ করে চলে যায়। প্রায় এক বছর যাবৎ রাস্তার কাজটি বন্ধ থাকার ফলে ২টি ইউনিয়নের সাথে ৮টি গ্রামের হাজার হাজার লোজন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অপর দিকে এলাকার সাধারন ব্যবসায়ীদেও পণ্য সামগ্রী আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে অধিক ভাড়া ব্যয় করতে হচ্ছে। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খানা খন্ডের কারনে সামান্য বৃষ্ঠিতে পানি জমে থাকে। ছোট খাট কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ২টি কমিউনিটি ক্লিনিক চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনকে অনেক কষ্ট করতে হয়। জরুরি রোগে আক্রান্ত কোন রোগিকে ঘিওর সদ হাসপাতালে নেবার পথে দুর্ভোগের সীমা থাকেনা।
গোলাপনগর গ্রামের শিক্ষক আব্দুর রহমান ওয়ায়েসী, মোহসিন উদ্দিন, সেকেন আলী, তমিজ উদ্দীন, বাহেজ উদ্দিন, কাহেতারা গ্রামের নূরুল ইসলাম, কুব্বাত মেম্বরসহ অনেক লোকজন বলেন, দীর্ঘদিন রাস্তা মেরামতের কাজটি বন্ধ থাকায় আমাদেও গ্রামের লোকজনের চলাচলের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। আমরা জরুরীভিত্তিত্বে রাস্তাটি মেরামতের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ অহিদুল ইসলাম টুটুল জানান, রাস্তাটি মেরামরের কাজ শুরু করার জন্য বহুবার উপজেলা প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে।
বড়টিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শামসূল আলম মোল্লা রওশন জানান, ঘিওর বড়টিয়া ২টি ইউনিয়নের সংযোগ সড়কটির কাজ শেষ হলে ২টি ইউনিয়নের যোগাযোগের সহজ পথ হবে। এলাকার লোকজনের অনেক উপকার হবে।
মের্সাস এমএই এন্ড এমএমসিকেভি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক শেখ মাসুদ মুঠো ফোনে জানান, এই রাস্তার কাজটিতে আমি প্রায় সোয়া কোটি টাকা ব্যয় করেছি। কিন্তু করোনা মহামারী সময়ে রড, সিমেন্টসহ যাবতীয় জিনিস পত্রের মূল্য বৃদ্ধির করানে আমি কাজটি বন্ধ করে দেয়। জিনিস পত্রের দাম স্বাভাবিক হলে আমি রাস্তাটি করে দেব।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান হৃদয় সাংবাদিকদেও জানান, চুক্তি অনুযাযী গত ২০২২ সালের মে মাসে এই রাস্তার কাজটি শেষ হবার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে বাজারে রড, সিমেন্টসহ সকল প্রকার দ্রব্য সামগ্রী মূল্য বেশি থাকার কারনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি রাস্তাটির কাজ বন্ধ রেখে চলে যাওয়ার সংস্কার কাজটি থেমে আছে। তবে আমরা তার সাথে কথা বলেছি। এবং উর্দ্ধতন কতর্ৃপক্ষকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিতকরা হয়েছে।
Posted ৭:৪৭ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
Desh24.news | Azad
.
.