ডেস্ক রিপোর্ট | বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২ | প্রিন্ট
সাইমন হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁওয়ে দুইটি হোটেলে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করায় ৬ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত এতে সকল হোটেল ও রেস্তোরাঁ অনিদিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে হোটেল মালিক ও শ্রমিক সমিতি। সেই সাথে জেলার বেকারিগুলোতে শ্রমিক না থাকার শঙ্কায় বেকারিও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিকরা।
১২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাতে জেলার হোটেল রেস্তোরাঁ ও বেকারি শ্রমিক সমিতির সাথে হোটেল মালিক সমিতি একযোগে এই ঘোষণা দেয়।
জানা গেছে, নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩’ এর অধীন ‘বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত’ পরিচালনা করেন ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকার। উক্ত আইনের তফসিল এ বর্ণিত ৩৪ ধারায় অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় পৌর শহরের চৌরাস্তার গাওসিয়া হোটেল ও রোজ হোটেল এর ম্যানেজারদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে ৬ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড আরোপ করা হয়। এই সময় রোজ হোটেলের ম্যানেজার রুবেল হোসেন ও গাওসিয়া হোটেলের ম্যানেজারকে আটক করা হয়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুই হোটেলের অর্ধশত হোটেল শ্রমিক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে ও চৌরাস্তা ট্রাফিক মোড়ে ইফতারি খাবার ফেলে প্রতিবাদ শুরু করেন। সে সময় শ্রমিক হেনস্থার প্রতিবাদ জানিয়ে আটক শ্রমিকের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত কর্ম বিরতি ঘোষণা করে দুই হোটেল শ্রমিক।
সেই সাথে রাতে দুই হোটেল শ্রমিকদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ঠাকুরগাঁও জেলা হোটেল ও বেকারি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জয়নাল আবেদিন।
জয়নাল আবেদিন বলেন, আমরা গরিব হোটেল শ্রমিক। দিন রোজগার করি দিন খাই। আমাদের উপর জেল জুলুম কেন। আমাদের শ্রমিকদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে হোটেলে কাজে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের শ্রমিক ভাইদের নিঃশর্ত মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত আমরা আর কাজে যাবো না। কোন হোটেলে কাজ করবো না। না খায়ে মরে যাবো, তবুও কাজে যাবো না।
অতিরিক্ত জরিমানা ও হেনস্থার প্রতিবাদে হোটেল শ্রমিকের সিদ্ধান্তে একাত্মতা জানিয়ে জরিমানা বাতিল না করা পর্যন্ত হোটেল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি অতুল কুমার পাল।
তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য আইনে তুচ্ছ ভুলের কারণে হোটেল রোজ ও গাওসিয়াকে ৩ লাখ করে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম। এ সময় রোজ হোটেলের ম্যানেজার ও গাওসিয়ার ম্যানেজারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১ বছর করে সাজা দেয়া হয়। এ কারণে কর্ম বিরতি দিয়েছেন শ্রমিকরা। তারা হোটেলে না আসলে হোটেল খোলা রাখা বা বন্ধ রাখা সমান কথা৷ আমরা তাদের সিদ্ধান্তে একাত্মতা প্রকাশ করছি। সেই সাথে অতিরিক্ত জরিমানা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরাও হোটেল না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকার জানান, জনসাস্থের জন্য বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত’ নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।
Posted ৮:৩২ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২
Desh24.news | Azad