বিশেষ সংবাদদাতা | রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট
দেশের উন্নয়ন যাত্রার আরেক নতুন মাইলফলক রচিত হতে যাচ্ছে আগামী মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর)। এই দিন মাতারবাড়ি আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য মালবাহী প্রথম মাদার ভেসেল পরীক্ষামূলকভাবে নির্মিত চ্যানেল হয়ে আনলোডিং জেটিতে ভিড়বে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য একটি বিশেষ মাইলফলক। কারণ, এই দিন সমুদ্রে পণ্যবাহী একটি মাদার ভেসেল সরাসরি মাতারবাড়ি জেটিতে নোঙড় করবে।
এই পরীক্ষামূলক নোঙড়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অন্যতম যুগান্তকারী পদক্ষেপের ভিত রচিত হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
জানানো হয়, এর ধারাবাহিকতায় পরে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হবে।
আন্তুর্জাতিকভাবে পানামা খাল দিয়ে যে জাহাজগুলো চলাচল করে এমন বৃহদকায় পানামাক্স ভেসেল ভেড়ানোর সক্ষমতা নিয়েই তৈরি হচ্ছে এই মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দর। বছরে ২৮ লাখ টিইইউ (২০ ফুটের সমান কন্টেইনার ইউনিট) হ্যান্ডলিং সক্ষমতা থাকবে এই বন্দরের। আর ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন চ্যানেলটি হচ্ছে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীর। যারই পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হচ্ছে ২৯ ডিসেম্বর।
সেখানেই একটি কয়লাচালিত বিদ্যুৎ প্রকল্পও বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। জাপানের সুমিতোমো কর্পোরেশন, তোশিবা কর্পোরেশন ও আইএইচআই কর্পোরেশনের সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (সিপিজিসিবিএল) এর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির ভিত্তিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
** সুনীল অর্থনীতি, এমপিডিপি হবে ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ প্রযুক্তির
** বন্দরের ব্যাপ্তি বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, পাঁচ প্রকল্প পাইপলাইনে
এই গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের মধ্য দিয়ে মাতারবাড়িকে নতুন অর্থনৈতিক হাব হিসেবেই দেখছে সরকার।
এই বন্দরের আওতায় থাকবে ১৮ হেক্টর জুড়ে কনটেইনার টার্মিনাল। সঙ্গে ৪৮০ মিটার দীর্ঘ জেটি। এছাড়া একটি ৩০০ মিটার জেটি সম্বলিত একটি মাল্টি-পারপাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে
Posted ৭:১১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০
Desh24.news | Azad
.