মোঃ খায়রুল বাশার মিঠু, ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি | সোমবার, ৩০ আগস্ট ২০২১ | প্রিন্ট
গ্রামের পর গ্রাম চোখ মিললেই শুধু চোখে পড়বে বরজ। এখানে পানের বরজ উপর নির্ভরশীল প্রায় দুই শতাধিক কৃষক পরিবার। পানের বরজই তাদের একমাত্র আয়ের উৎস। বাপ-দাদার পেশা না ছেড়ে আঁকড়ে ধরে থাকার কারণেই আজ জীবনযুদ্ধে করে চলছে এ পরিবারগুলো।
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের স্থানীয় বসিন্দারা জানান, প্রাচীনকাল থেকে এই গ্রামের বাসিন্দারা পানের বরজে পান চাষ করতো। এ অঞ্চলের লোকেরা পানের বরজকে বর বলে।
সরেজমিনে গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বড়দের পাশাপাশি নারী ও শিশুরাও পানের বরজে পান গাছের পরিচর্যা ও পান ছিড়তে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
পানবরজে পঁচন ও মরে যাওয়ায় চাষীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। প্রথমে পান গাছের গোড়ায় কালচে দাগ হয়ে ধীরে ধীরে পুরো গাছ মরে যাচ্ছে। কোনো ওষুধ প্রয়োগেও কাজ হচ্ছে না। পানবরজে এ রোগের কারণে পানচাষীরা আর্থিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মাসুমবিল্লাহ জানান, চাটমোহর ১৩ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হচ্ছে। রোগাক্রান্ত এলাকাগুলোতে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। উপজেলার সব এলাকাতেই পানবরজে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
হরিপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের পানচাষী
মোঃ ছাবের আলী জানান,গত বছর অতিরিক্ত বৃষ্টি পানিতে ২০ শতক বর পচনে যায়। অনেক কষ্ট করে আবার পান লাগালে। গত ১০ দিন ধরে টানা বৃষ্টি জন্য আবারও পঁচন ধরছে।
মোঃ মাসুম হোসেন জানান, দুটি পানবরজের মধ্যে একটি বরজই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর্থিকভাবে তিনি অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
মোঃ নয়ন হোসেন জানান, অচিরেই পানবরজে পচন ও মরে যাওয়া রোগ নির্মূল করা না গেলে পানচাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
মোঃ কামাল হোসেন জানান,গত তিন বছর থেকে এই এলাকায় গোড়া পঁচা রোগ মহামারি আকার ধারণ করেছে। প্রথমে দু’একটা গাছে পঁচন ধরে। এক পর্যায়ে পুরো পান বরজ পঁচে মরে যায়। এসময় তারা বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়েছে ।
হাটে আসা পানচাষীরা জানান, নিত্য পণ্য দ্রব্য মূল্য উর্দ্ধগতি। এছাড়া পান চাষের উপকরণ প্রচুর পরিমান দাম বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় পানের দাম খুবই কম থাকায় পান চাষিরা হতাশ হয়ে পড়েছে ।।
Posted ২:৫২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ৩০ আগস্ট ২০২১
Desh24.news | Azad
.