রামপ্রসাদ সরকার দীপু, | মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
মানিকগঞ্জের ঘিওর- কুস্তা ইছামতী (শাখা) নদীর উপরে ব্রেইলী ব্রীজটি এবারের বন্যায় দুই পাশে ধ্বসে যায় এবং মাঝখানের কিছু অংশ ফাটল ধরলে কর্তৃপক্ষ ব্রীজটি উপরে দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ করে। এর পরেও মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ন ব্রীজটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘিওর-দৌলতপুর এ দুটি উপজেলা কমপক্ষে ১৯/২০টি গ্রামের হাজার-হাজার লোকজনসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছে এলাকার লোকজন।
জানা গেছে, ঘিওর এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯২ সালে প্রায় ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ইছামতী নদীর উপওে এই ব্রেইলী ব্রীজটি নির্মান করা হয়। ২০১২ সালে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করে এলজিইডি। এর পরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কুস্তা, নারচী, শ্রীধরনগর, খলসী, কুমুরিয়া, বিনোদপুর, কাটাখালী, জিয়নপুর এলাকার ১৯/২০টি গ্রামের লোকজন যাতায়াত করছে। অপর দিকে ১টি সরকারি কলেজ, ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এলাকার হাজার হাজার লোকজন এবং স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী এবং খাদ্যগুদামের ধান, চাল, গম আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে চরম অসুবিধা হচ্ছে। এবং অধিক ভাড়া ব্যয় কওে পন্য সামগ্রী আনা নেওয়া হচ্ছে। অপর দিকে এলাকার সকল প্রকার ব্যবসায়ীদের মালামাল আনা নেওয়ার ক্ষেত্রেও চরম অসুবিধা হচ্ছে। এলাকার লোকজনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ঝুঁকির মধ্যে পারাপার করতে হচ্ছে।
কুস্তা গ্রামের আওয়াল মিয়া, রফিকুল, কাইয়ুম খানসহ গ্রামের লোকজন সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার লোকজন এই সেতুটি উপর দিয়ে যাতায়াত করে। এব্যারের বন্যায় দুপাশে ধ্বসে পরে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে সামনের অংশ ফাটল ধরেছে। এবং পিলারের পাশ থেকে মাটি সরে গেছে। সকল প্রকার ভারী যানবাহন ও স্থানীয় খাদ্যগুদামে মালমাল আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে চরম অসুবিধা হচ্ছে। এ ছাড়া স্কুল কিংবা প্রাইভেট পড়তে তার প্রতিনিয়ত এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করছে। এছাড়াও পণ্য পরিবহনে বাড়তি ঝামেলা ও দ্বিগুণ অর্থ অপচয় হচ্ছে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, এ দুটি উপজেলার দুই ১৫/১৬ টি গ্রামের মানুষ এই সেতু দিয়ে পারাপার করে। দীর্ঘ ৩১ বছরেও ব্রীজটি পূর্ন মেরামত করা হয়নি। ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ এরাকার হাজার হাজার লোকজনকে চলাচলের ক্ষেত্রেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
খাদ্য গুদামে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মোঃ তুহিনুর ইসলাম জানান, ব্রিজটি ঝঁকিপূর্ন হবার কারনে খাদ্যগুদামের সকল প্রকার মালামাল আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে চরম অসুবিধা হচ্ছে। এবং অধিক ভাড়া ব্যয় করতে হচ্ছে। দ্রুত ব্রিজটি মেরামতের জন্য তিনি উর্দ্ধতন কতর্ৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান হৃদয় জানান, ব্রেইলী ব্রীজটি নির্মানের জন্য নকশা ও স্টীমেটসহ যাবতীয় তথ্যাবলি পূনোরায় কতর্ৃপক্ষের নিকট দাখিল করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত ব্রীজটি নির্মানে প্রয়োজনয়ি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুর রহমান জানান, আমি ক্ষতিগ্রস্থ ব্রিজটি পরিদর্শন করেছি। জরুরি ব্রিজটি নির্মানের সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Posted ৭:১২ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
Desh24.news | Azad
.