রামপ্রসাদ সরকার দীপু, | শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
মানিকগঞ্জ ঘিওর উপজেলার চর মাইজখাড়া রূপবান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটেছে। আগুন ক্ষতির পরিমান প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা ২ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে যায় চারটি শ্রেণিকক্ষের আসবাবপত্র ও অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী। এ ঘটনায় বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘিওর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত গত বুধবার বিকেলে ।
জানা গেছে, উপজেলার সিংজুরি ইউনিয়নের চরমাইজখাড়া গ্রামে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সাবেক যুগ্ন-সচিব আব্দুল রাশেদ খান ২০০৮ সালে তাঁর মায়ের নামে প্রতিষ্ঠা করেন বেগম রূপবান মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রতিষ্ঠাতার সাথে কয়েকজন প্রভাবশালী প্রতিবেশীর জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘ দিন ধরে। এরই জেরে আগুন দিয়ে বিদ্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৫ জনকে চিহিৃত আসামি করে বুধবার রাতে থানায় অভিযোগ দেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ ফরিদুল হক।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে মঈন বিশ্বাস, নঈম বিশ্বাস, হালিমা বিশ্বাস, আলমগীর হোসেন, মোঃ ছায়েদ আলীসহ আরো কয়েকজন ব্যক্তি বিদ্যালয়টি ধংস করার পায়তারা করছে। ইতিপূর্বে অভিযুক্ত হালিমা বিশ্বাসের স্বামী মোনছের আলী বিশ্বাস বিদ্যালয়ের জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে সহকারী জজ ঘিওর আমলী আদালত মানিকগঞ্জে ২৮৩ /২১ ও ১৮৬/২১ নং মোকদ্দমা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতে এ মামলা চলমান আছে। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক বিদ্যালয়টি ধ্বংস করতেই আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই আগুনে বিদ্যালটির ৫টি কক্ষের মধ্যে ৪টি কক্ষ পুড়ে যায় এবং গুরুত্বপূর্ণ আসবাপত্র পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। ক্ষতির পরিমান প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।
এ বিষয়ে মঈন বিশ্বাস বলেন, আমরা সবাই ঢাকা থাকি। স্কুলের জায়গা ওটা আমাদের, জায়গাটা নিয়ে কোর্টে মামলা চলমান। আমাদের ফাঁসাতে গিয়ে তারা নিজেদের ঘরে নিজেরাই আগুন দিয়ে এই নাটক সাজিয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সাবেক যুগ্ন-সচিব আব্দুল রাশেদ খান বলেন, ১১১ শতাংশ জমির উপর মামলা চলমান আছে। নানা হয়রানি ও ন্যক্কার জনক কাজ করে আমাদের উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা করছে। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছে। কোমলমতি শিশুদের যে ক্ষতি করেছে তার বিচার চাই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে থানায় একটি অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি। বিষয়টি র্উদ্ধতন কতৃপক্ষের জানানো হয়েছে।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আমিনুর রহমান অগ্নিকান্ডের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছে পুলিশ। তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Posted ৪:২৭ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩
Desh24.news | Azad