শনিবার ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএনও’র নাম ভাঙিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের ড্রেজার বাণিজ্য

সুরেশ চন্দ্র রায়, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি।   |   বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট  

ইউএনও’র নাম ভাঙিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের ড্রেজার বাণিজ্য

 

মানিকগঞ্জের শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহমান কান্তাবতী নদীর গাংধূসরিয়া, বেরি ও ফেচুয়াধারা অংশে ড্রেজার বসিয়ে শিবালয়ের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সরকারি কাঁচা রাস্তা নির্মাণের পাশাপাশি আশেপাশের ডোবা নালা পুকুর ভরাট করে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।


স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন সরকারি কাজ ও মসজিদ মাদ্রাসায় মাটি ভরাটের অজুহাতে চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মানিক ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন যাবৎ তাঁর নিজস্ব লোকের মাধ্যমে ড্রেজার ও ভেকু বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। ফেচুয়াধারার এই রাস্তা নির্মাণের জন্য চেয়ারম্যান অবশ্যই সরকারিভাবে একটি বাজেট পেয়েছেন। এখন বিনামূল্যে সরকারি কান্তাবতী নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি তুলে রাস্তা তৈরি করছেন। তাহলে বাজেটের টাকা কোথায় গেল? তাঁরা আরো বলেন, এই নদী যদি শুধূ শিবালয় উপজেলার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হতো তাহলে মানিক চেয়ারম্যান কেবলমাত্র শিবালয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এই নদী থেকে মাটি তুলে রাস্তা নির্মাণ করতে পারতো। কিন্তু এই নদী তো শিবালয় এবং হরিরামপুর উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহমান। শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেব কি আদৌ হরিরামপুর উপজেলা প্রশাসন ও গালা ইউপি চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়েছেন?

১১ ডিসেম্বর (সোমবার) দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ফেচুয়াধারা গ্রামের হেলাল উদ্দিন, মিণ্টু, আলেফ, লোপু এবং গাংধূসরিয়া এলাকার মৃত, কাজীমুদ্দিন, কবির হোসেন, জিলাল উদ্দিন, জহির ও মহাদেব সরকারের বাড়ির পাশের কান্তাবতী নদীতে ড্রেজার বসিয়ে কাঁচা রাস্তা নির্মাণের পাশাপাশি চেয়ারম্যান মোজা ও আনিছের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গা ভরাট করছেন।

শিবালয় উপজেলার আড়পাড়া এলাকার ড্রেজার মালিক রেজাউল করিম সিজান মোবাইল ফোনে জানান, শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মানিক ভাই তাঁর কাছ থেকে ড্রেজার ভাড়া নিয়ে ওই এলাকায় কাজ করছেন। সেক্ষেত্রে সব দায়দায়িত্ব চেয়ারম্যানের।

শিমুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মানিক মোবাইল ফোনে প্রতিবেদককে জানান, আসন্ন নির্বাচনে কর্মকর্তারা যাতে সহজে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন সেকারণে অতিদ্রæত রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে। নদীর মাটি কেটে এই রাস্তা নির্মাণের বিধান আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জাহিদুর রহমান তাঁকে নদীতে ড্রেজার বসানোর মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন। এই কান্তাবতী নদী তো শিবালয় এবং হরিরামপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহমান। সেক্ষেত্রে হরিরামপুর উপজেলা প্রশাসন অনুমতি দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে তিনি বলেন, আজ ডিডিএলজির সাথে তাঁর বিশেষ মিটিং আছে। এ বিষয়ে তাঁর প্রতিনিধি মোজা ও আনিছ কথা বলবেন।

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অগত নন। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।

শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জাহিদুর রহমান দেশ টোয়েন্টিফোরকে  জানান, তিনি কাউকে এধরণের কোন কাজের অনুমতি দেননি এবং দেয়ার সুযোগও নেই। যে বা যাঁরাই এটি বলেছেন সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমি এখনই এসিল্যাণ্ড সাহেবকে বিষয়টি দেখার জন্য বলছি।

Facebook Comments Box

Posted ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

Desh24.news |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
এম আজাদ হোসেন সম্পাদক ও প্রকাশক
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়

শ্রীসদাস লেন,বাংলাবাজার , ঢাকা-১১০০/ ঘিওর, মানিকগঞ্জ।

হেল্প লাইনঃ +৮৮০১৯১১৪৭৭১৪১/০১৯১১২২৭৯০৭

E-mail: infodesh24@gmail.com