রামপ্রসাদ সরকার দীপু, | বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারের এলাকায় হরদমে বিক্রি করছে তাল শাঁস। জ্যৈষ্ঠের খরতা দাবদাহে দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। তীব্র গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থায় একটু শান্তি পাবার আশায় তাল শাস খাচ্ছে এলাকার লোকজন । ফলে তাল শাসের কদর বেড়ে গেছে। এছাড়াও ভ্যান যোগে ভ্রাম্যমান তাল শাঁস বিক্রেতাদের সংখ্যাও কম নয়। অনেক ক্রেতাই পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে প্রতিটি তাল শাঁস ১৫ থেকৈ ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঘিওরে ৬ শতাধিক পরিবারের লোকজন তাল শাঁস বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন।
জানা গেছে, ঘিওর বেপারীপাড়া গ্রামের মৌসুমী তাল ব্যবসায়ী সুমন ও আশিক জানায়, প্রতি বছর মধু মাসে সে ঘিওর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে পাইকারি দরে তাল শাঁস ক্রয় করে ঘিওর হাট-বাজারে বিক্রি করে। চলতি মৌসুমে তিনি ৪টি তাল গাছ ৮ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন। এ পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার টাকার তাল সে বিক্রি করেন। তাল ব্যবসায়ী আনু মিয়া জানান, ৩টি গাছের তাল ৪ হাজার টাকায় কিনেছেন। গাছ থেকে তাল নামাতে ২ জন শ্রমীককে দিতে হয়েছে ১ হাজার টাকা আর ভাড়া লেগেছে ৬০০ টাকা। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বানিয়াজুরী বাসষ্ট্যান্ডে সামনে প্রতিটি তাল বিক্রি করেন ১৫ থেকে ২৫ টাকা। দেড় মাসে তিনি তালের শাঁস বিক্রি করে আয় করবেন ২০/৩০ হাজার টাকা। ঘিওর হাটে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ঘিওর বাজার, ঘিওর বাসস্ট্যান্ড, মাছ বাজার, পূরাতন গরু হাট, কুস্তা সেতুর নিকটে দেখা গেছে অনেক সৌখিন বিক্রেতারা তাল বিক্রি করছে। সব শ্রেনী পেশার লোকজন মৌসুমী ফল তাল শাঁস ক্রয় করতে ভীড় করছেন বিক্রেতাদের কাছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ হামিদুর রহমান জানান, ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাড়িঘর ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় তাল গাছের ভূমিকা অপরিশীম। শুষ্ট রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এ অঞ্চলে তালগাছ এখন বিলুপ্ত প্রায়। প্রতি বছর বয়স্ক শত শত তালগাছ কেটে গৃহস্থালি, ইট পোড়ানো, তালের ডোঙ্গা তৈরি ও জ্বালানিসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর্থিক অনটনের কারণে অনেক তালগাছ সস্তায় বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।
ঘিওর উপজেলা আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ বিপুল বালো জানান, তাল শাঁস পুষ্টিকর, প্রশান্তি দায়ক ও কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে।
ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাজেদুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে তালের ফলন কম হওয়ায় বিক্রেতাদের আনা মৌসুমী ফল তাল শাঁস মুহুর্তের মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে ঘিওর উপজেলায় প্রায় ৬ শতাধিক তাল গাছ আছে। ইদানিং তাল বীজ বিভিন্ন এলাকাতে রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
Posted ৮:১৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩
Desh24.news | Azad
.