রামপ্রসাদ সরকার দীপু | শনিবার, ০৯ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বিভিন্ন বইয়ের দোকান গুলোতে প্রকাশ্যেই পাঠ্যসূচি বহিভর্থত নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বইয়ের ব্যবসা জমজমাট হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন প্রকাশনির নোট ও গাইড বই কিনতে কমলমতী শিক্ষার্থীদের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় নিষিদ্ধ ও নাট ও গাইড বই বিক্রয় করলেও তারা নীরব ভুমিকা পালন করছে।
জানা গেছে, ৭টি ইউনিয়নের ২২টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১টি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, ৩টি মাদ্রাসা ও ৮৫টি সরকাররি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকরা কোমলমতি শিক্ষাথর্ীদের টার্গেট করে বই কেনার জন্য চাপ দেয়। কোম্পানীর এক সেট নোট ও গাইডের দাম প্রায় ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা। চড়া মুল্যে বইগুলো কিনতে বাধ্য হচ্ছে অভিভাবকরা। শিক্ষাথর্ী ও অভিভাবকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, সরকার প্রথম শ্রেনী থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকের নোট ও গাইড বই মুদ্রন, বাঁধাই, প্রকাশনা, আমদানী বিতরন ও বিক্রয় সম্পুর্ন নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু সরকারি আইন অমান্য করে ঘিওরে লাইব্রেরীগুলোতে নোট এবং গাইড বই গোপনে বই বিক্রয় হচ্ছে। ফলে সরকারের সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটা মুখ থুবরে পরবে বলে সংশ্লিষ্ঠ দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা মনে করছেন। বিভিন্ন প্রকাশনী ৩য় শ্রেনী থেকে নবম শ্রেনী পর্যন্ত প্র্রাইভেট শিক্ষকদের সাথে চুক্তি করেছে। শিক্ষাথর্ীদের বই কেনার জন্য লাইব্রেরীতে পাঠাচ্ছে কতিপয় শিক্ষকরা । তারা কম্পানীর কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে নিম্মমানের গাইড ও নোট বই কেনার জন্য শিক্ষাথর্ীদেও বাধ্য করা হচ্ছে। স্থানীয় লাইব্রেরি গুলোতে পাঞ্জেরী, লেকচার, অনুপম, নেপচুন, নিউটন, রুপন্নি, অক্ষর জ্ঞান, অক্সফোর্ড, এডভান্স. ফুলকড়ি,নবদুতসহ বহু বাহারী নামে নোট ও গাইড বই বাজারে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক আবল কালাম, রাজিব হোসেন, ফরিদ আহম্মেদ জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যসুচি বহিভর্থত নোট এবং গাইড বই কিনতে একটি চিরকুট ধরিয়ে দেওয়া হয়। শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাসে পাঠদান এবং সৃজনশীল শিক্ষার পদ্ধতি সম্র্পকে সঠিক ভাবে জ্ঞানদান করলে এবং আন্তরিকতার সাথে পড়ালে নোট বইয়ের প্রয়োজন পড়েনা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, উপজেলার কোন বিদ্যালয় নোট ও গাইড বইয়ের ব্যবহার সম্পূর্নভাবে নিষেধ করা হয়েছে। এর পরেও যদি কেউ অবৈধ বই ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার পারভীন জানান, নোট ও গাইড বই বিক্রি আইনত অপরাধ। ঘিওরে কোন লাইব্রেরীতে যদি নোট , গাইড বিক্রি করে তবে আমাদের উপরোক্ত কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়টি অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, সরকারি ভাবে নোট গাইড বই বিক্রি আইনত সম্পূর্ন ভাবে নিষিদ্ধ। যদি কোন লাইব্রেরীর মালিক নোট ও গাইড, নোট বই বিক্রি করে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহন করা হবে।
Posted ৮:১৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৯ মার্চ ২০২৪
Desh24.news | Azad
.