মোঃ শফি আলম, ঘিওর (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা | বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১ | প্রিন্ট
মানিকগঞ্জে যে বিস্তীর্ণ জমিতে কয়েক বছর আগেও ধান, গম, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল চাষ হতো সেখানে এখন চাষ করা হচ্ছে মারাত্মক ক্ষতিকর তামাক। চারিদিকে তাকালেই দেখা যায় শুধূ তামাক আর তামাক। জানা গেছে বিভিন্ন বিভিন্ন টোব্যাকো কোম্পানির কাছে কৃষকরা হেরে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। অর্থের লোভ দেখিয়ে তাদের এ চাষ করানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন কৃষক।
কৃষকরা জানান, এককালীন টাকা পাওয়ার কারণে তারা এ কাজ করে। ফলে দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে তামাক চাষ। অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন থেকে দূরে ঠেলে করানো হচ্ছে তামাক চাষ। এ সমস্ত এলাকার কৃষকরা তামাক চাষের নিয়ম কানুন না থাকার কারণে বেপরোয়া ভাবে তামাক পাতা নারাচারা করার কারণে নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়ছে। তামাক পাতা উত্তোলনের সময় হাতে হ্যান্ডগ্লাফস, মুখে মাস্ক থাকা আবশ্যক কিন্তু এসব এলাকার কৃষকেরা তার কোনোটিই ব্যবহার করছে না। শুধূ কৃষকরাই নয় এসমস্ত এলাকার শিশুরাও এ কাজের সাথে জড়িত। এ আবার তামাক পাতাগুলো বাড়ির আঙ্গিনা, উঠান এমনকি ঘরের ভিরতেও শুকানো হচ্ছে। অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের কারণে পরিবেশের ভারসাম্য, স্বাস্থ্যঝুকি বিশেষ করে শ্বাস কষ্টের রোগীদের নানা সমস্যাসহ গবাদী পশুর মুত্যুর হার বেড়ে যাচ্ছে ওইসব এলাকায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘিওর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায়, বড়টিয়া, সিংজুরি, নকিববাড়ী পূর্ব আশাপুর, শিমুলিয়া, চরমাইজখাড়া, বাইলজুরি, জাবরা, কেল্লাই,তরা তামাক চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে সাধারণ কৃষকরা তামাক কোম্পানির কাছ থেকে টাকা দাদন নিয়ে তামাক চাষ করছেন। ইতি মধ্যে সকল প্রকার আবাদী ফসল চাষ কমিয়ে দিয়ে তামাক রোপনের কাজে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে শিশু মহিলা সহ পরিবারের সকল সদস্যরা।
জানান, এ বছর সে ১২ বিঘা জমিতে তামাক চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় ৮ থেকে ৯ মণ তামাক উৎপাদন হয়। এসমস্ত তামাক ৮০ থেকে শুরু ১১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হয়। আমি আকিজ টোব্যাকো এবং ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকে কোম্পানীর কাছে তামাক বিক্রয় করেন। এতে করে সে একেবারে এককালীন ভাবে তামাকের টাকা গুলো পাচ্ছে। অন্যান্য ফসল চাষ করে সে এভাবে এককালীন টাকা পেতো না।
উপজেলা কৃষি কর্মকতার্ শেখ বিপুল হোসেন জানান, উপজেলায় ২০২০ সালে তামাক চাষ হয়েছিল ৬৬ হেক্টর জমিতে বর্তমানে ২০২১ সালে ৩৯ হেক্টর তামাক চাষ হয়।আমরা কৃষকদের নিরুৎসাহী করি কিন্তু তারা নগদ টাকার লোভে তামাক চাষ করে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, তামাক চাষের ফলে নি:শাসের মাধ্যমে তামাকের ঘ্রান ফুসফুসে গিয়ে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়া জমির উর্বরতারও অনেক ক্ষতি হয়। সরকারীভাবে তামাক চাষ বন্ধ না থাকায় আমরা কার্যত কোন পদক্ষেপ নিতে পারি না।
Posted ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১
Desh24.news | Azad