রামপ্রসাদ সরকার দীপু, | বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
মানিকগঞ্জের ঘিওরে উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের পেঁচারকান্দা ধলেশ্বরী নদীর উপরে নির্মিত সেতুটি সামনের অংশটি প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া অপর পাশে সেতুর এপ্রোচ সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে যে কোন সময়ে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে । ফলে এখানকার মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে মারাত্মক আতঙ্ক। সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ জনগণের যাতায়াতে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে তিনটি ইউনিয়নের ১৫-২০ হাজার লোক যাতায়াত করে থাকে। ভাঙ্গন রোধকল্পে স্থানীয় প্রশাসন কোন উদ্যোগ এখনও গ্রহন করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, এ রাস্তা দিয়ে পেঁচারকান্দা, চরবেনোরা, চরকুশুন্ডা, রামেশ্বরপট্টি, সড়কঘাটা, আশাপুর, কামারজাগী, টেপড়ি, সাইংজুরি, কাউটিয়া, বামনা, শোধঘাটাসহ ঘিওর ও সিংজুরি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের ১৫-২০ হাজার মানুষকে যাতায়াতে চরমদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কের ভেঙে যাওয়া অংশ এবং সেতুর গোড়ার মাটি ধসে পড়া অংশ দেখতে ভিড় করছে শত শত মানুষ। সেতুর উত্তর পাশের গোড়ার মাটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো সময় সেতুসহ সংযোগ স্থলের পাকা সড়ক, ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যেতে পারে। সেতুটি ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এখানকার মানুষ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল সামাদ, আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ হাসান মুকুল ও ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন জানান, প্রায় ১৫টি গ্রামে প্রবেশের এটাই একমাত্র সড়ক। প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, হাটবাজার, কৃষক, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষ এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। এই সেতু বা সড়ক ভেঙ্গে গেলে এখানকার মানুষ খুব সমস্যায় পড়ে যাবে। মাটির বস্তা ফেলে এ ভাঙ্গন সাময়িক রোধ করা হয়েছিল। চলতিবছর পূনরায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙনের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
ঘিওর উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলার পেঁচারকান্দা হাট সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীর ওপর ১০০ দশমিক ১০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজটি ১ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। নদীর প্রবল স্রোতের কারনে ব্রিজটির সামনের অংশ নদীতে ভেঙ্গে গেছে। ভাঙ্গনরোধকল্পে সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এছাড়া ব্রিজটি আরো ২৫ মিটার বর্ধিত করা হবে। এতে প্রাক্কলন ব্যয় হবে প্রায় ৩ কোটি টাকা। সকল প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে। সেতু বর্ধিত করা হলে এপ্রোচ রোড ভাঙ্গনের কোন শঙ্কা থাকবেনা বলে তিনি জানান।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে ভাঙ্গনের স্থান পরিদর্শন করেছি । এ ভাঙ্গনরোধে ব্রিজ এক্সটেনশনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অতিদ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।
Posted ৭:১৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
Desh24.news | Azad
.
.
আর্কাইভ
রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |