জুলহাস মোল্লা কলাপাড়া পটুয়াখালী প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
পটুয়াখালীর কলাপাড়া খাদ্য অধিদপ্তরের বেশ কয়েকজন কর্মচারীর যোগসাজশে একটি অসাধু চক্র নিম্নমানের চাল সরকারি গোডাউনে সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, বিচ অটোরাইস নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গত বছরের পুরাতন ও নিম্নমানের চাল দেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের বস্তায় ঢুকিয়ে কলাপাড়া এলএসডি গোডাউনে সরবরাহ করা হচ্ছে। ৬ ডিসেম্বর সকাল থেকে ভালো চালের সঙ্গে পচা চাল সরবরাহ শুরু হয়। কলাপাড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের উপসহকারী খাদ্য পরিদর্শক মেহেদী হাসানের সঙ্গে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমেই বিচ অটোরাইস পচা চাল সরবরাহ করছে। প্রতিবছর একই কায়দায় প্রতিষ্ঠানটি সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করে।
গত বছর ডিসেম্বরে উপসহকারী খাদ্য পরিদর্শক মেহেদী হাসানের হিসাবে পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করে বিচ অটোরাইস কর্তৃপক্ষ। ওই বছরের ২৭ তারিখ সোনালী ব্যাংকের কলাপাড়া শাখায় মেহেদী হাসানের হিসাবে (সঞ্চয়ী হিসাব নং ৪৩১১৭০১০৩৪১৭১) পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়াও নগদ অর্থ প্রদান
করারও অভিযোগ করেছে একাধিক সূত্র। অভিযোগ রয়েছে কলাপাড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে চাল সরবরাহের আগেই চাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিল দিয়ে দেওয়া হয়। আর তা থেকেই নিজেদের ঘুসের টাকা রেখে দেন উপজেলা খাদ্য অফিস সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয় জানতে চাইলে উপসহকারী খাদ্য পরিদর্শক মেহেদী হাসান টাকা গ্রহণের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিচ অটোরাইসের মালিকের সঙ্গে তার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি আমার কাজিনের মামাশ্বশুর। তার কাছ থেকে টাকাটা ধার নিয়েছিলাম পারিবারিক প্রয়োজনে। চিকিৎসার জন্য আমার এক ভাই বিদেশ গিয়েছিলেন তাই। একবারই টাকা নিয়েছি। পরিশোধও করেছি। এ বিষয়ে বিচ অটোরাইসের মালিক ইশাকুর রহমান বলেন, ‘আমার গোডাউনে বিভিন্ন মানের চাল রয়েছে। কিন্তু সরকারি গোডাউনে ভালো চাল সরবরাহ করছি।’ আপনার মিলে নূরজাহানের স্টিকার লাগানো বস্তায় চাল কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে চাল বা বস্তা কি আছে এখন?’ কোথায় গেছে চাল-এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আপনারা খোঁচাখুঁচি করলে সেই চাল কি আর মিলে রাখা যায়।’
Posted ৭:০৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
Desh24.news | Azad
.
.