সোমবার সন্ধ্যায় দৌলতপুরে নিহত আমিরুল ইসলাম পারভেজ এর পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মানিকগঞ্জ -২ আসনের এমপি মমতাজ বেগম। এ সময় তিনি পারভেজের একমাত্র কন্যা তানহাকে লেখাপড়াসহ তার পরিবারের সদস্যর সকলকেই সকল কাজে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এছাড়া পরিবারকে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম রাজা বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনকালে বিএনপির কর্মীদের হামলায় একমাত্র উপার্জনকারী নিহত হওয়ায় তার পরিবারের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেছি। সেই সাথে বিএনপি -জামায়াতের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
পারভেজের মা রহিমা খাতুন বলেন, আমি কিছু বুঝি না, আমার বুকের ধনরে যারা মারছে। ওগো শাস্তি চাই।
পারভেজের একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়। নাম রাখা হয় তানহা ইসলাম। বর্তমানে তার বয়স ছয় বছর। অস্ফুট স্বরে বলল আমার বাবারে মেরে ফেললো কেন?
পারভেজের বড় বোন শেফালি বলেন, আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমার ভাই দেশের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন। আমার ভাইয়ের খুনিদের ফাঁসি চাই।
চরকাটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, ভিডিওতে দেখলাম পারভেজকে যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, এটা মেনে নেয়া যায়না ঘাতকদের সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি।
দৌলতপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি সভাপতি শাহ আলম বলেন, পারভেজের মৃত্যুতে পুরো পরিবার এখন অসহায়। এমন মৃত্যু কাম্য নয়। সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
স্থানীয় এমপি নাঈমুর রহমান দূর্জয় বলেন, আন্দোলনের নামে মানুষকে পিটিয়ে মারতে হবে, এ কেমন আন্দোলন? ধিক্কার জানাই এই জঘণ্য ঘটনার। এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। নিহতের পরিবারকে যথাসাধ্য সহায়তা করা হবে।
জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, বিএনপি, জামায়াত মানেই সন্ত্রাসের দল। তারা হত্যার রাজনীতি করে। এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাই। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, পুলিশ সদস্য শহীদ পারভেজের মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। পারভেজের হত্যার বিচারের নিশ্চয়তা দিয়ে তিনি বলেন, দেশে এখন আর কেউ বিচারের ঊর্ধ্বে নয়। এই জঘন্য ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার হবেই। পারভেজের ওপর হামলাকারীদের মধ্যে দুজনকে গাইবান্ধা ও ঢাকার ডেমড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার বলেন, পারভেজের বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি দেশের জন্য জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। তার ছেলে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে শহীদ হয়েছেন। আমরা সবসময় তার পরিবারের পাশে থাকবো।