মোঃ শফি আলম, ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি | শনিবার, ১৫ মে ২০২১ | প্রিন্ট
মানিকগঞ্জ শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় কখনোও এক নাম্বার ঘাট, কথনোও পাঁচ নাম্বার ঘাট, কখনোও দুই ও তিন নাম্বার ঘাটে ছুটে বেড়ান বা কখনোও রাস্তায় হেঁটে, সকাল থেকে বিকেল অবধি প্রতিদিন কলা বিক্রি করে সংসার চালান হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের কলাপাড়া এলাকার মৃত হাছেন এর ছেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আব্দুল হালিম। অন্যান্যদের মতো ভিক্ষা না করে জীবিকা নিবার্হ করেন নিজেই।
আক্ষেপেরসুরে হালিম বলেন,আমাদের খবর কেউ নেয়না। আমাদের চেয়ারম্যানও নেয়না।অভাব অনোটনের সংসার আমার। প্রতিদিন তার বাড়ি থেকে পচিঁশ টাকা দিয়ে অটোরিক্সা যোগে কলা নিয়ে ঘাটে আসি। কোনোও দিন ১৫০ টাকা,কোনোও দিন ২০০ টাকা করে কলা বিক্রি করি। আমার ছোট সময় টায়ফয়েড জ্বর হয়। সেই থেকে আমার দুটি চোখ অন্ধ হয়ে যায়। অনেক চিকিৎসা করেও চোখ দুটো ভাল হয়নি। আমার পরিবারের সদস্য ৪ জন। স্ত্রী,এক ছেলে এক মেয়ে নিয়েই তার সংসার। পরিবারের বড় ছেলের সংসার আলাদা। মেয়েও বিয়ে দিয়েছেন। কোনোও রকমে খেয়ে পরে বেচে আছি। একটি সাদা ছড়ির সাহায্যে চলাচল করেন তিনি।
তিনি তার এলাকা থেকে কলা কিনে আনেন। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় ঘুরে ঘুরে তিনি কলা বিক্রি করেন। প্রতিদিন ৮০-১০০ টাকার মতো আয় হয়। তা দিয়েই চলে তার সংসার।
প্রায়ই রাস্তায় চলার পথে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাকে।তবুও জীবিকার জন্য ফেরি করে কলা বিক্রি করতে হয়।তিনি বলেন, প্রতিবন্ধি ভাইদের বলবো আমার মতো কাজ করে সংসার চালানো সম্ভব। এজন্য বলছি আপনারা কেউ ভিক্ষা করবেন না। কাজ করে টাকা উপার্জন করুন। তাতে আল্লাহও খুশি হবেন, সুখে থাকবেন সবাই।
ভিক্ষাবৃত্তি সমাজের জন্য একটি অভিশাপ। প্রতিবন্ধী হয়েও হালিমের মতো কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা সম্ভব। হালিমের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত সমাজের অন্যান্য ভিক্ষুকদের।
Posted ৭:২৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৫ মে ২০২১
Desh24.news | Azad
.
.