দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি | বুধবার, ১২ মে ২০২১ | প্রিন্ট
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে “গোস্ত সমিতি”। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এ বছর “গোস্ত সমিতি” গড়ে উঠেছে। সারা বছর অল্প অল্প করে সঞ্চয় করে ঈদের আগে পশু কিনে জবাই করে গোস্ত ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুলত গড়ে তোলেন এই সমিতি।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ঈদ উল ফিতরকে কেন্দ্র করে এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া বা মহল্লায় এ ধরনের “গোস্ত সমিতি” গঠন করা হয়েছে এ বছর। সমিতির সদস্যরাই একে অপরের সাথে আলাপ করে টাকা পয়সার সার্বিক খোঁজ খবর রাখেন বলে জানাগেছে।
জানাযায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ২-৩ বছর ধরে দু-এক জায়গায় এ ধরনের সমিতি চালু হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এ বছর ঈদ সামনে রেখে “গোস্ত সমিতি’র” সংখ্যা বেড়েছে। এ বছর দৌলতপুর উপজেলা সদর, তারাগুনিয়া, শালিমপুর, মন্ডল পাড়া, শশীধরপুর, প্রাগপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় সমিতির সংখ্যা প্রায় শতাধিক হবে বলে বিভিন্ন সমিতির সদস্যদের সংঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। আরোও জানাযায়, এ ধরনের সমিতির সদস্য সংখ্যা ২০ থেকে ৫০ জন পর্যন্ত হয়ে থাকে। সমিতির প্রত্যেক সদস্য প্রতি সপ্তাহে বা মাসে নির্ধারিত হারে সঞ্চয় জমা দেন। পরে জমা করা টাকায় ঈদের দু-একদিন আগ থেকেই গরু, ছাগল, ভেড়া কিনে এনে জবাই করে গোস্ত ভাগ করে নেন। এসব পশুর চামড়া, ভুড়ি বিক্রির টাকা দিয়ে প্রাথমিক তহবিল গঠন করে শুরু হয় পরের বছরের সমিতির কার্যক্রম। তবে এই “গোস্ত সমিতি” শুধুমাত্র রোজার ঈদ বা ঈদ উল ফিতরেই হয়ে থাকে। শুরুতে শুধু নি¤œবিত্তের লোকেরা সমিতি করলেও এখন মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরাও সমিতি করছেন।
উপজেলার শালিমপুর গ্রামের গোস্ত সমিতির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম জানান, তাদের সমিতিতে সদস্য সংখ্যা ৩৭ জন। প্রত্যেকে সপ্তাহে ৫০ টাকা করে জমা দিতেন। ওই সমিতির পক্ষ থেকে এবার ৭০ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনে জবাই করে প্রত্যেকেই গোস্ত ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি জানান, এ ধরনের অন্তত ১০ থেকে ১৫ টি এ ধরনের সমিতি গড়ে উঠেছে এ এলাকায়। তাছাড়া এই সমিতি করলে নিজেরা গরু কিনে এনে ভালো গোস্ত পাওয়া যায় খরচের চাপটাও অনেক কমে যায় বলে তিনি জানিয়েছে।
Posted ৫:২৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১২ মে ২০২১
Desh24.news | Azad
.
.