সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি | সোমবার, ১৭ মে ২০২১ | প্রিন্ট
মানিকগঞ্জ সিংগাইরে বায়রাতে রাস্তা নির্মাণের শুরুতেই নিম্ন মানের খোয়া ব্যবহার করে রাস্তা পাকা করণের অভিযোগ উঠেছে। এ নিম্নমানের খোয়া দিয়ে রাস্তার কাজ করার কারণে অল্পদিনেই রাস্তা ভেঙ্গে কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানা খন্দে হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তাদের চোখ ফঁাকি দিয়ে কিভাবে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করছে তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের কাশেমুল উলুম মাদরাস ও এতিমখানা হতে বায়রা বাজার চৌরাস্তা পর্যন্ত ১.৪ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করণের দরপত্র আহবান করে এলজিইডি অফিস। এ রাস্তার ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা। সে মোতাবেক দরপত্রের মাধ্যমে কাজ পান মানিকগঞ্জের জনৈক হাসান নামে এক ঠিকাদার। সে তার কাজটি লাভে বিক্রি করে দেন আবজাল ও আতাউল নামে সিংগাইরের দুই ঠিকাদারের নিকট। গত ৬/৮ মাস আগে রাস্তার কাজ শুরু করে ঐ ঠিকাদাররা। সরেজমিনে দেখা যায় দুই পাশে নিম্নমানের ইটের খোয়া ভেঙ্গে রাস্তার কাজে ব্যবহার করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, কাজ বন্ধ হওয়ার ভয়ে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করিলেও কিছু বলতে পারছিনা। ভাল-মন্দ যাই হোক তবুও তো পাকা রাস্তা পাচ্ছি। যে কই দিন যায়, যাক। এদিকে ভূমদক্ষিণ কৈাচা ব্রিজ হতে কামালের বাড়ি পর্যন্ত চলমান রাস্তাটি পাকা করণে ব্যবহার হচ্ছে নিম্নমানের উপাদান সামগ্রী। স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদার অধিক লাভের আশায় নিম্ন মানের বিটুমিন ও খোয়া দিয়েই রাস্তার কাজ করে যাচ্ছে।
ঠিকাদার আবজাল বলেন, ফোনে কথা না বলে সাক্ষাতে কথা বলেন, তাতে বুঝতে পারবেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রুবাইয়েত জামান বলেন, কোনক্রমেই নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের সুযোগ নাই, খোয়ার মান ভাল দাবি করে তিনি বলেন দীর্ঘদিন ঐ রাস্তার কাজ বন্ধ ছিল গাড়ি চলতে চলতে ধূলা বালিতে ইটের মান এ রকম মনে হচ্ছে।
Posted ৪:১৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৭ মে ২০২১
Desh24.news | Azad