সাইমন হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | বুধবার, ১৮ আগস্ট ২০২১ | প্রিন্ট
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি হাবিবুল হক প্রধানের বিরুদ্ধে মামলার আসামীদের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে তুলে বাদীকে মামলা তুলে নিতে ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে এবং তাই নয় সন্ত্রাসী হামলার শিকার মাস্টার্স পড়ুয়া ছাত্রী ও তার পরিবারকে অপমান ও গালিগালাজ করার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
উক্ত ঘটনার প্রতিকার ও মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার বিকালে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের চৌরাস্তায় শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের আয়োজনে দুই ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করা হয়।
এসময় মানববন্ধনে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মাস্টার্স পড়ুয়া ছাত্রী হাসনা হেনা ও তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা, নির্যাতনের প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মত উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের জেলা কমিটির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আশিকুর রহমান রিজভী, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি টিংকু রায়, ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির সভাপতি সাদিয়া আহসান, সাধারণ সম্পাদক রিঙ্কু রায় প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, শারমিনের বাবা আরেক বিয়ে করে অনত্র বসবাস করছেন। তাদের আয় রোজগারের একমাত্র ব্যক্তি তার মা তার মায়ের ক্রয়কৃত দোকান ঘর ২০১৫ সালে দুই বছরের চুক্তিতে ভাড়া দেন লাহিড়ী হাট এলাকার মৃত পশির উদ্দীনের ছেলে মো: শাহজানকে।
ভাড়া নেয়ার পর ৫-৭ মাস নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করে আসছিলেন কিন্তু এরপর থেকে ভাড়া পরিশোধে টালবাহানা করে উল্টো পাশের দোকান গুলোর ক্ষতি করে আসছিল।
এ ছাড়াও চলতি বছরে ২ মার্চ ওই দুই শিক্ষার্থীসহ তার মায়ের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে পরে ৩ মার্চ শাহজানকে ১নং আসামী করে ৯জনের নাম উল্লেখ করে বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা দায়ের করা হয় যা এখনো চলমান রয়েছে।
অপরদিকে ৮ আগষ্ট হাসনা হেনা তার ছোট বোন শারমিন ও মাকে নিয়ে পাশের দোকান গুলো মেরামতের জন্য গেলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে পূর্বের দায়ের করা মামলার আসামি শাহজান ও তার দলসহ তাদের উপর বর্বর হামলা চালায় এবং গুরুতর জখম করে।
পরে ১০ আগষ্ট ওই আসামীদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হলে এরপর থেকে আসামীরা মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয় জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি হাবিবুল হক প্রধান আসামীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, উল্টো হাসনা হেনাদের দায়ের করা মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন এবং অপমান মূলক কথা বলে গালিগালাজ করেছেন এবং ১ নং মামলার আসামীকে উল্টো মামলা করার পরামর্শ এবং কথা না শুনলে কোন দোকান থাকবে না বলে হুমকি দেন।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মো. হাবিবুল হক প্রধান বলেন, অন্যের দোকান দখল করতে গেলে এ ধরনের ঘটনা ঘটে তবে আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়।
Posted ১০:১৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৮ আগস্ট ২০২১
Desh24.news | Azad