
ডেস্ক রিপোর্ট | শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫ | প্রিন্ট
আল মামুন ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি :
চলতি বোরো মৌসুমে ধান কাটতে শ্রমিক সংকটে পড়েছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কৃষকরা। দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। বাধ্য হয়ে পরিবারের লোকজন নিয়ে ধান কাটছেন তারা। অনেকে আবার বাড়তি পারিশ্রমিক দিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলছেন। এর ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে লোকসান হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
ঘিওর উপজেলার নন্দীর বাধা এলাকার বাসিন্দা রাব্বি জানান, প্রতি বিঘা (৩৩ শতক) ধান কাটার জন্য সাড়ে ৬ হাজার টাকা দিতে চেয়েও শ্রমিক না পেয়ে বাধ্য হয়ে অন্যকে ধানের খড় দিয়ে ধান কাটছেন।
চরবাইলজুরী গ্রামের মোঃ জুড়ান মিয়া জানান, অনেক কৃষকই খোঁজাখুজি করে ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছে না। ৩ বিঘা জমির ধান কাটতে ২ দিন খোঁজ করে তিনি শ্রমিক পেয়েছেন। তাদের বিঘা প্রতি ৬ হাজার টাকা দিতে হবে।
তিনি আরও জানান, অধিকাংশ ক্ষেত্রে শ্রমিকরা ধান কাটতে বিঘাপ্রতি ৭ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন।
সিংজুরী গ্রামের কৃষক মো. রহিজ উদ্দিন চুক্তিতে জমি নিয়ে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। চুক্তি অনুযায়ী, ১০ মণ ধান পেলে জমির মালিককে দিতে হবে ৪ মণ। তিনি বলেন, ‘এখন উৎপাদন খরচতো দূরের কথা, আবাদ করে আটকে গিয়েছি। বাধ্য হয়ে স্বামী-স্ত্রী মিলে জমির ধান কাটছি।’
কুড়িগ্রাম থেকে আসা ধান কাটার শ্রমিক হামেদ আলী জানান, ভোর ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ধান কাটার কাজ করে দিনে ১২,শ থেকে ১৪ শ টাকা পান। উচ্চমূল্যের বাজারে কৃষকরা এই পারিশ্রমিককে বেশি বললেও এ উপার্জনে তাদের সংসার চলে না।
ধান কাটা শ্রমিক মো. রমজান আলী জানান, ধান কাটার পুরো মৌসুম চলছে। কৃষকের তুলনায় শ্রমিকের সংখ্যা অনেক কম। আবার বাজারে সব কিছুর মূল্য বেশি। আমরাও শ্রমের মূল্য বেশি না নিলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চলতে পারি না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তহমিনা খাতুন বলেন, মানিকগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় এক সাথে ধান কাটা শুরু হয়েছে বলে শ্রমিকের সংকট রয়েছে। সরকারিভাবে সমন্বিত উপায়ে ধান কাটা যন্ত্রের ওপর ৫০ ভাগ ভর্তুকি দেওয়া হয়। এক সাথে সব জায়গায় ধান কাটা শুরু হয়েছে হয়েছে বলে ধান কাটা যন্ত্রের সংকট রয়েছে ।
Posted ৬:৩১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
Desh24.News | Azad
.
.