
ডেস্ক রিপোর্ট | বুধবার, ২১ জুলাই ২০২১ | প্রিন্ট
মানব ধর্মের ইতিহাস যতোটা প্রাচীন কুরবানির ইতিহাস ততোটাই প্রাচীন। মুসলিম উম্মাহর সর্ববৃহৎ ও দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আল্লাহ তাথআলার আনুগত্য লাভের ও সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম কুরবানি। এ পন্থায় ত্যাগ, তিতিক্ষার মাধ্যমে মানুষের সর্বাধিক প্রিয়বস্তু আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে হয়।
আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কুরবানি করা পশুর মাংস ভাগ করার একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরবানির পশুর মাংস ভাগ করার একড়ি নিয়ম বলে দিয়েছেন।
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরবানির মাংস একভাগ নিজের পরিবারকে খাওয়াতেন, একভাগ গরীব প্রতিবেশীদের দিতেন এবং একভাগ গরীব-মিসকিনদের দিতেন।
এছাড়া ইবন মাসঊদ (রাঃ) কুরবানীর গোশত তিনভাগ করে একভাগ নিজেরা খেতেন, একভাগ যাকে চাইতেন তাকে খাওয়াতেন এবং একভাগ ফকীর-মিসকীনকে দিতেন বলে উল্লেখ রয়েছে।
ইসলামের বিভিন্ন ইমামগণও কুরবানীর গোশতকে তিনভাগ করাকে মুস্তাহাব বলে উল্লেখ করেছেন।
কুরবানির মাংস আত্মীয় ও গরীবদের মাঝে বিতরণ না করাটা খুবই গর্হিত কাজ। এতে কৃপণতা প্রকাশ পায়। কারণ কুরবানির মাধ্যমে কুরবানিদাতা অহংকার থেকে নিরাপদ থাকেন এবং তার অন্তর পরিশুদ্ধ থাকে।
ইসলামি জ্ঞানে বুৎপত্তি অর্জন করা আলেমগণ বলেন, কুরবানির মাংস নিজে রেখে একা একা খাওয়া কখনোই উচিৎ নয়। এতে নিজের অন্তরের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ পায়।
Posted ১০:১২ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২১ জুলাই ২০২১
Desh24.news | Mollah Azad
.
.