
ডেস্ক রিপোর্ট | বুধবার, ১২ জানুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বেশকিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। আগামীকাল ১৩ জানুয়ারি থেকে সেগুলো কার্যকর হবে। এটি অপ্রত্যাশিত ছিল না এবং হটাৎ করেই এ ঘোষণা দেওয়া হয়নি। ভাইরাসটির নতুন ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে মহামারির তৃতীয় ঢেউ চলে আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা গেল না।
তবে বিধিনিষেধ যথাযথভাবে কার্যকর করা গেলে আশা করা যায় যে লকডাউনের প্রয়োজন পড়বে না এবং ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহ পরিণতি এড়ানো যাবে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট অতি সংক্রমণযোগ্য হওয়ায় আমাদের সতর্ক থাকা উচিত। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের বেশিরভাগ অংশে এই ভ্যারিয়েন্ট দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে।
তবে এটি সহজেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে পারলেও অতটা মারণঘাতী নয় বলে জানা গেছে। তাছাড়া এই ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তবে এতে মৃত্যুর হার আগের মতো বেশি নাও হতে পারে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলা করতে আমাদের ভালোভাবে প্রস্তুত হতে হবে।
ভাইরাসের বিরুদ্ধে গত ২ বছরের লড়াইয়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে। রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এর বিস্তার বন্ধ করার চেয়ে ভালো উপায় আর নেই। ব্যক্তিগতভাবে ও সমষ্টিগতভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই তা সম্ভব।
যতটা সম্ভব বাড়িতে অবস্থান করা উচিত, যে কোনো ধরনের গণজমায়েত এড়ানো এবং অবশ্যই টিকা নেওয়া উচিত। যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেগুলোর ব্যাপকতা থাকলেও, আমরা মনে করি কয়েকটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা উচিত। ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক সমাবেশ ‘উন্মুক্ত স্থানেথ বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে বিধিনিষেধ তখনই কার্যকর হয়, যখন সেগুলো মেনে চলা হয়। প্রশাসনের শুধু আদেশ জারি করে বসে থাকা উচিত নয়। আদেশের প্রয়োগ নিশ্চিত করাও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া বিধিনিষেধ কার্যকরে মাঠে থাকবে পুলিশ।
Posted ১২:০৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১২ জানুয়ারি ২০২২
Desh24.news | Mollah Azad
.
.